‘মামা গাড়িতে অনেক খরচ, ট্রাকে অল্প দামে যেতে পারব’

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০১৮, ১১:২১ পিএম

আর মাত্র একদিন পরই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। আর তাই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেতে প্রতিদিন বাড়ি ফিরছে রাজধানীর লাখো মানুষ। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবারও বাড়ি ফিরতে ভোগান্তি আর বিড়ম্বনা পিছু ছাড়ছে না সাধারণ মানুষকে।

নিরাপদে বাড়ি ফেরার প্রত্যাশায় যে যেভাবে পারছে সে সেভাবেই ছুটছেন গাঁয়ের পথে। কিন্তু পথিমধ্যেই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। তাইতো নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের দুর্ভোগ দেখতে সায়াদাবাদ ও কমলাপুর থেকে সরজমিনে গিয়ে ঘুরে আসে বিডি২৪লাইভ এর প্রতিবেদক।

পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার জন্য বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় সায়দাবাদ বাসস্ট্যান্ডে আসেন আলমগীর হোসেন। দীর্ঘ ২ ঘণ্টা দাড়িয়েও সিলেটের টিকিট না পেয়ে হতাশার কন্ঠে বিডি২৪লাইভকে তিনি বলেন, আমি ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গাড়ির টিকিট পাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু গাড়ির টিকিট পাই যার দাম অনেক বেশি।

&dquote;&dquote;এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে শ্যামলী বাস কাউন্টারের সামনে অপেক্ষা করছিলেন কক্সবাজারগামী ইউনুস মোল্লা ও তার পরিবার। তিনি বিডি২৪লাইভকে অনেকটা আক্ষেপ করে বলেন, ভোর থেকে অনেক জায়গায় টিকিট খোঁজাখুঁজি করলাম কিন্তু ভালো কোন গাড়ির টিকিট পাচ্ছি না। আর এমন গাড়ির টিকিট পাই সেটা দিয়ে আসলে যাওয়ার মতো না।

সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে গোপীবাগ মোরে দেখা মিলল একঝাঁক দিনমজুরের। তাদের গন্তব্য বগুড়ার জয়পুরহাটে। তাদের মধ্য থাকা কামাল হোসেন নামে একজন বিডি২৪লাইভকে বলেন, মামা আমারা সাবাই ট্রাকে যাব। গাড়িতে অনেক খরচ, তবে ট্রাকে অল্প দামে যেতে পারব।

&dquote;&dquote;এদিকে ভাড়া বেশি আদায়ের ব্যাপারে সিডিএম পরিবনের এক কর্মচারী বিডি২৪লাইভকে বলেন, রোজার প্রথম দিকে যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় আমাদের গাড়িগুলোর অধিকাংশ সিট খালি যায়। তখন মালিককে অনেক লোকসানও গুনতে হয়েছে। তাই মালিকপক্ষ আসা করছিল ঈদ উপলক্ষ্যে যাত্রীর চাপ বাড়বে, কিন্তু যাত্রীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় অনেক কম। তাই ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: