স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে পাবনাবাসীর

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০১৮, ০৯:১১ এএম

৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করতে শনিবার (১৪ জুলাই) পাবনা আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে পাবনাবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পাবনা-মাঝগ্রাম রেলপথের উদ্বোধন করা হবে বলেও যানা যায়। যার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে পাবনাবাসীর।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী আরিফ আহম্মেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে উদ্বোধনের পর ট্রেনটি পাবনা এক্সপ্রেস নামে চলবে। উদ্বোধনের দিন ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি নিয়ে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে। পরবর্তীতে পাবনা-রাজশাহীর মধ্যে চলাচল করবে। প্রতিদিন ঈশ্বরদী-পাবনা-রাজশাহী-পাবনা-ঈশ্বরদীতে ৪২৩ জন যাত্রীধারণ ক্ষমতার এ ট্রেনে থাকবে এসি সিগ্ধা, চেয়ার কোচ, ননএসি ও শোভন।

ঈশ্বরদী থেকে প্রতিদিন ট্রেনটি সকাল ৫টা ৪৫মিনিটে ছেড়ে পাবনা পৌঁছাবে ৬টা ৪৫ মিনিটে। এরপর পাবনা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে। রাজশাহী থেকে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে পাবনা আসবে রাত ৯টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি পাবনা থেকে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে ঈশ্বরদী পৌঁছাবে রাত ১১টায়।

সূত্রে জানা গেছে, পাবনায় প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে তিনি সকাল ১১টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় চুল্লির প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করবেন। বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে তার কর্মসূচির দ্বিতীয়াংশ। এ সময় তিনি পুলিশ লাইন্স মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। তার আগে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে জনসভার প্যান্ডেল থেকে প্রধানমন্ত্রী ৩১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। এগুলো হলো— ঈশ্বরদী থেকে মাঝগ্রাম হয়ে পাবনা পর্যন্ত রেলওয়ে সেকশনে ট্রেন চলাচল, পাবনা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাস, ঈশ্বরদী থানা ভবন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ, আটঘরিয়া উপজেলার মাঝপাড়া, ঈশ্বরদী উপজেলার পাক্শী, সলিমপুর, লক্ষ্মীকুণ্ডা, সাঁড়া, পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর এবং চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ফরিদপুর উপজেলায় বড়াল নদীর ওপরে নির্মিত নারায়ণপুর সেতু, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় গোমানী নদীর ওপরে নির্মিত নৌবাড়িয়া সেতু, ঈশ্বরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, চাটমোহর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, পাবনা সিটি কলেজ, আটঘরিয়ার দেবত্তোর ডিগ্রি কলেজ, ডেঙ্গারগ্রাম ডিগ্রি কলেজ ও খিদিরপুর ডিগ্রি কলেজ, চাটমোহর মহিলা কলেজ, সুজানগরের বোনকোলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও মহিলা কলেজ, সাঁথিয়ার শহীদ নুরুল হোসেন ডিগ্রি কলেজ এবং ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবন, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রশাসনিক ভবন, আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চাটমোহর উপজেলায় গোমানী নদীর ওপরে নির্মিত নিমাইচড়া সেতু, চাটমোহর উপজেলায় কাটাখাল সেতু, চাটমোহর উপজেলায় আত্রাই নদীর ওপরে আত্রাই সেতু, সুজানগর উপজেলায় ধোলাইখাল সেতু, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, সাঁথিয়া এবং সুজানগর উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

যেসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

১৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলো— রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সিগন্যালিংসহ রেললাইন নির্মাণ, জেলা সদরে ১০০০ আসনবিশিষ্ট অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল, সুজানগর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আটঘরিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, চাটমোহর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, বেড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, সুজানগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, জেলা রেজিস্ট্রার অফিস ভবন, পুলিশ লাইন্স মহিলা পুলিশ ব্যারাক ভবন, সুজানগর উপজেলায় সাগরকান্দি ইউনিয়ন ও আটঘরিয়া উপজেলায় হাদল ইউনিয়ন ভূমি অফিস, পাবনা মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সাঁথিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাবনায় আদর্শ মহিলা কলেজ এবং এর একাডেমিক ভবন, সাঁথিয়া উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেড়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার ও পানি শোধনাগার নির্মাণ, সাঁথিয়া পৌরসভায় উচ্চ জলাধার নির্মাণ এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ।

এদিকে, শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে নতুন রূপে সেজেছে দেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা পাবনা। ব্যানার, পোস্টার আর তোরণে ছেয়ে গেছে নগরীসহ শেখ হাসিনার যাতায়াতের সড়কগুলো।


বিডি২৪লাইভ/এএইচআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: