পালিয়ে ফুফুকে বিয়ে করল ভাতিজা, এরপর...

প্রকাশিত: ২৬ আগষ্ট ২০১৮, ১২:২০ এএম

জামালপুর সদর উপজেলায় দুলাভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্যালকের বিরুদ্ধে। হত্যার পর শ্যালক থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। শুক্রবার (২৪ আগস্ট) রাত একটার দিকে উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের লাহাড়িকান্দা এলাকার নবাবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহজারুল ইসলাম (৩৫) নবাবপুর গ্রামের আবু তাহের তালুকদারের ছেলে। আর গ্রেফতার হওয়া শ্যালকের নাম খালিদ হাসান চৌধুরী (২৫)। তিনি একই গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।

এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিমুল ইসলাম বলেন, বিয়ের আগে খালিদের বোন ছিলেন নিহত মাহজারুলের ফুফু। তবে আপন ফুফু ছিলেন না। এই দুজনের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি খালিদ। ওই ক্ষোভ থেকেই মাহজারুলকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এ ঘটনায় মাহজারুলের বড় ভাই সেলিম তালুকদার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

জানা যায়, খালিদ হাসানের বড় বোনের সঙ্গে মাহজারুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের সম্পর্কটা ছিল ফুফু-ভাতিজার। দুই পরিবারের কেউই তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। তিন বছর আগে তারা দু’জনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু বিষয়টি খালিদ হাসান কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। ঈদে মাহজারুল ইসলাম বাড়িতে আসেন।

শুক্রবার রাতে একই গ্রামে এক আত্মীয়ের বিয়েতে মাহজারুল অংশ নেন। ওই বিয়েতে খালিদ হাসানও যোগ দেন। রাতে মাহজারুল ইসলাম বিয়ে বাড়ির একটি পুকুর পাড়ে বসে ছিলেন। এ সময় খালিদ হাসান গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এদিকে দুলাভাইকে কোপানোর পর রাতেই নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে খালিদ হাসান আত্মসমর্পণ করেন। তিনি এখন নরুন্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রয়েছেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: