মোসাদ্দেকের পরকীয়া সংসার ভাঙ্গার কারণ!

প্রকাশিত: ২৭ আগষ্ট ২০১৮, ০৩:৫১ পিএম

বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তার স্ত্রী সামিনা শারমিন (সামিয়া)।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, সামিনা শারমিন (সামিয়া) মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (২৬) ও তার মা মোছাঃ পারুল বেগমকে (৫৩) আসামি করে দশ লাখ টাকার যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণীতে সামিয়া বলেন, আমার স্বামী বাংলাদেশ জাতীয় দলের একজন নিয়মিত ক্রিকেটার। সে খেলার অজুহাতে বেশির ভাগ সময় ঢাকার বাসায় বসবাস করতেন। মাঝে মধ্যে ময়মনসিংহে আসত। এই অবস্থায় আমি স্বামীর সংসার করতে থাকি।

জাতীয় দলের খেলোয়ার হিসাবে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতেন। সে সুবাদে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে তার পরিচয় হয়। বিভিন্ন জনের মাধ্যমে আমার স্বামীর পরকীয়া ও অবাধে মেলামেশার কথা জানতে পারি। পরে পরকীয়া ও অবাধে মেলামেশার কথা জানতে চাইলে, সে আমাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত। এরই মধ্যে সে (মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত) ঢাকায় একটি ব্যবসা করবে বলে আমাকে বাবার বাড়ি থেকে দশ লাখ টাকা যৌতুক বাবদ এনে দেয়ার কথা বলে। টাকা না দিতে পারায় শাশুড়ির প্ররোচনায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আমার উপর শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতন সহ্য করে এ ভাবেই সংসার করতে থাকি। এর মধ্যে আমার শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি বাবার বাড়িতে আসি। ১৪ আগস্ট আমাকে মোবাইল ফোনে তাদের বাড়িতে যেতে বলে। ১৫ আগস্ট দুপুরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও শাশুড়ি বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে দশ লাখ টাকা না দিতে পারলে দশ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিয়ে করবে বলে আমাকে জানায়।

পরে এর প্রতিবাদ করতেই আমার চুল ধরে নাকে-মুখে মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ও বুকে-পেটে লাথি মেরে আমাকে ফেলে দেয়। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে রক্ষা করে। পরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আমার বাবার বাড়িতে ফোন করে খবর দেয়। আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে আমার ভাই এনামুল হক সুমনের সাথে আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি। এ অবস্থায় আমি ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে মামলা করি।

মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম দুলাল বলেন, যৌতুকের দাবিতে মোসাদ্দেক দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। গত ১৫ আগস্ট দুপুরে তিনি ফের ১০ লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

রোববার দুপুরে সদর আমলি আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোজিনা খানের আদালতে সামিনা শারমিন (সামিয়া) নির্যাতনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি আমলে না নিয়ে ৮ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিষয়ে জানতে আজ (২৭ আগস্ট) ময়মনসিংহ নগরীর কাচিঝুলির গোলাপজান রোডে গেলে মোসাদ্দেক’র বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

তার স্ত্রী সামিনা শারমিন (সামিয়া) সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কল সিরিভ করেননি।

মোসাদ্দেকের ছোট ভাই মোসাব্বের হোসেন মুন বলেন, ৬ বছর আগে মোসাদ্দেকের সঙ্গে উষার বিয়ে হয়। সে সম্পর্কে আমাদের খালাতো বোন। তার বাসা নগরীর চৌরঙ্গী মোড়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিলনা।

গত ১৫ আগস্ট ভাই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। কিন্তু উষা বিয়ের কাবিন নামার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ ভাইয়ের কাছে দাবি করেছিলো। ভাই সেই টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: