নেশাই তার শিশু ধর্ষণ! অতঃপর

প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:১৭ পিএম

মুন্সীগঞ্জে দুই শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি মহসিন আলি শেখকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ। টার্গেট করে শিশুদের ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে আসছিল সে।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাত ৪ টার দিকে ৬ মাসের পুলিশি অভিযানের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের দুইটি মামলা রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) গাজী মো. সালাউদ্দিন জানান, ২০০১ সালে শিশু ধর্ষণ মামলায় ৫ বছর জেল খেটে বের হয়েছে বলে মহসিন মৌখিকভাবে স্বীকার করে। তবে মামলাটির সত্যতা যাচাই বাছাই চলছে। রাত ১২ টার পর সপ্তাহে ২-১ দিন মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর এলাকায় ধর্ষণসহ চুরি, ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে ঘুরে বেড়াতো।

আত্মগোপনে থাকার জন্য সে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় ভাসমানভাবে অবস্থান করে আসছিলো। নির্দিষ্ট করে তার কোন ঠিকানা নেই। ধর্ষণ মামলা দুইটির সুরাহা না হওয়ায় পুলিশ সুপারের বিশেষ নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করা হয়। মহসিনকে একাধিকবার গ্রেফতার চেষ্টা করা হলেও সে পুলিশি ফাঁদ বুঝতে পেরে পালিয়ে যায়। ৬ মাস ধরে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

&dquote;&dquote;

আরো জানান, ৫-১০ বছরের শিশুদের ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করে আসছিল। তার পরিচয় কেউ যাতে চিহ্নিত না করতে পারে তার জন্য বিশেষ পন্থা অবলম্বন করতো। টঙ্গিবাড়ী উপজেলার রঘুরামপুর এলাকার আকমত আলি ওরফে আফতাব আলি শেখের ছেলে মহসিন। তবে দীর্ঘদিন আগে বাড়িঘর বিক্রি করে চলে যায়।

এদিকে, জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মো. হৃদয় (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের ডিঙ্গাভাঙ্গা এলাকায় সে ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল এবং বরগুনা জেলার আমতলি থানার ত্রেপুরা গ্রামের সেলিম মৃধার ছেলে হৃদয়। ভোর ৬ টার দিকে তাকে আটক করা হয়।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: