দারুণ খুশি আখ চাষিরা!

প্রকাশিত: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০৩ পিএম

চলতি মৌসুমে ভালো ফলনে দারুণ খুশি লামার আখচাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার পাশাপাশি রোগবালাই কম হওয়ায় উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নে ফলন ভালো হয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে কাঙ্খিত দাম পাওয়ার আশায় আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন বহু কৃষক। এতে দিনে দিনে লামায় আখ চাষের পরিধি বাড়ছে।

এ বছর লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় কেজিএফ এর অর্থায়নে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ইক্ষু গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের’ আওতায় ১৮ জন কৃষক আখ চাষ করেছে। প্রতিজন কৃষক ৩৩ শতক জায়গায় আখের আবাদ করেছে। এছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে আরো ২০/২৫ জন কৃষক প্রায় ১০ একর জমিতে আখ চাষ করেছে বলে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়। 

&dquote;&dquote;

লামা পৌরসভার হরিণঝিরি এলাকায় বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় আখ চাষ করেছেন কৃষক মো. আব্দুল হানিফ। 

তিনি বলেন, আখে সাধারণত লাল-পচা রোগ ছাড়া অন্য কোনো রোগ হয় না। এ বছর রোগটির তেমন উপদ্রব নেই। ফলনও ভালো হয়েছে। এখন শুধু কাটার অপেক্ষা। অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় লাগবে আখ কাটা শুরু করতে। আমি ৪৩ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। আমার মোট ব্যয় হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ীরা আমার ৪৩ শতক জমির আখ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় ক্রয় করতে প্রস্তাব দিয়েছে। 

রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ইব্রাহিম লিডার পাড়ার আখ চাষি মো. আব্দুল মোর্শেদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আখ চাষ করছি। এ বছর জমিতে আখ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। লামা পৌরসভার সাবেক বিলছড়ি এলাকার চাষি জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে আখের চাহিদা থাকায় ভাল লাভের আশা করছি। তামাক চাষের চেয়ে আখ চাষে কষ্ট ও মূলধন কম লাগে।  

বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট লামা উপজেলার বৈজ্ঞানিক সহকারী বসন্ত কুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আমরা চাষিদের বীজ, সার ও কীটনাশক ওষুধ দিয়ে সহায়তা করি। আগামীতে চাষ আরো বাড়ানো হবে। আখ চাষের শুরু থেকে ফলন উঠতে ৯ থেকে ১০ মাস সময় লাগে। আখের পাশাপাশি আমরা কৃষকদের সাথি ফসল হিসেবে মূলা, ফরাশসীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও গোল আলু করার পরামর্শ দিয়ে থাকি।  

&dquote;&dquote;

ব্যক্তি উদ্যোগে আখ চাষ করা চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তাই মাঠপর্যায়ে তেমন পরিদর্শনে আসেন না। তাই বিভিন্ন সময় রোগবালাই হলে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে কথা হলে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরে আলম। তিনি বলেন, এই উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া আখ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। তাই প্রতি বছরই উপজেলায় আখ চাষের পরিমাণ বাড়ছে। চাষীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পারদর্শী করা হচ্ছে। উপজেলার প্রত্যেকটি ব্লকে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।   

 বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: