নাটোরের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কি জানিয়ে গেলেন ওবায়দুল কাদের?

প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৭:৫৮ পিএম

নাটোর জেলার বিবাদমান নেতাদের নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকায় বৈঠক করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই বৈঠকের পরও থেমে থাকেনি জেলার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব। প্রকাশ্যে না হলেও একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার অব্যাহত রাখেন। এমনকি শোকের মাস আগস্টেও পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করেন বিবাদমান নেতারা। জেলার চারটি সংসদীয় আসনের তিনটিতেই টালমাটাল এ অবস্থায় শনিবার নাটোরের পথসভায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দ্যেশ্যে চিরাচরিত বক্তব্যই রাখেন ওবায়দুল কাদের। 

মনােনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দ্যেশ্য ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যেকের আমলনামা জমা আছে। আমলনামা দেখে, জনপ্রিয়তা যাচাই করে মনোনয়ন দেওয়া হবে।‌‌‌‌‌ জনসমর্থনহীন, জনমতের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। যারা জনগণের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, যার সঙ্গে মানুষ নাই; আওয়ামী লীগ তাদের মনোনয়ন দেবে না।’

কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় ইতিবাচক রাজনীতি করেন। জনগণের কল্যাণে তারা নিবেদিতপ্রাণ। জনগণ শেখ হাসিনাকে ভালোবাসে, শেখ হাসিনাও জনগণকে ভালোবাসেন। কারও পক্ষে স্লোগান দিয়ে মনোনয়ন পাওয়া যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্লোগান হবে শুধু বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার নামে।’

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি সরকারের সময় বিদ্যুৎ ছিল না, ছিল শুধু লোডশেডিং। শহরের মানুষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পেতো না। বর্তমান সরকারের সময় এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। যদি কোথাও বিদ্যুৎ না থাকে, তাহলে নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবে।’

সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি বারবারই আন্দোলনের হুমকি দেয় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১০ বছরে ২০টি ঈদ হয়েছে। কখনও কোটায় ভর করে, কখনও ছাত্র আন্দোলনে ভর করে বিএনপি আন্দোলন করতে চেয়েছিল। ১০ বছরে তারা যখন আন্দোলন করতে পারেনি আগামী দুই মাসেও পারবে না।

‘মরা গাঙে জোয়ার আসে না, মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়া জেলে গেলে আন্দোলনে দেশ বঙ্গোপসাগর হয়ে যাবে বলা হলেও নদীর ঢেউও দেখা যায়নি এখন পর্যন্ত'। 

ওবায়দুল কাদের দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে নাটোরে পৌঁছান। ২টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত তিনি বক্তব্য রাখেন। ২টা ৩৯ মিনিটে তিনি সঙ্গী নেতাকর্মীদের নিয়ে ট্রেনে চড়ে নাটোর ত্যাগ করেন।

ওবায়দুল কাদেরকে বিদায় জানােনার পর নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ  সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপি নাটোরের শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নিবার্চনের আগে বিশাল জনসভা করার ঘোষণা দেন। 

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির সঞ্চালনায় উপস্খিত ছিলেন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আ’লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। 

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: