গরিবের ১০ টাকা মূল্যের চালে পোকা!

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:০০ এএম

দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সরকারে বিক্রিত স্বল্প মূল্যের চাল নিয়ে বিপাকে পড়ছে দরিদ্ররাই। ক্রয়কৃত এসব চাল খাবার উপযোগী নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ১০ টাকা মূল্যে ক্রয়কৃত চালে যেমন পোকা তেমন নষ্ট বলেও জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। সরকারের খাদ্য গুদাম থেকে গরিবের জন্য সরবরাহকৃত চাল ক্রয়ে এখন গরিবরাই অনীহ প্রকাশ করছে।

এসব চাল নিয়ে জেলার বরকল উপজেলায় খাদ্য গুদামে দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষেই স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ৭৫ মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, সরবরাহকৃত অধিকাংশ চাল পঁচা ও ভেতরে পোকায় ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব চাল খাবারে উপযোগী নয় বলে অভিযোগ করেন সুবিধাভোগীরা। সবসময় ডিলার ও সুবিধাভোগীদের মধ্যে তর্ক ও বাকবিতণ্ডা হয় এই পঁচা চালের কারণে। আবার অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, ‘দশ টাকা মূল্যের চাল বলে কথা’ সে জন্যই পঁচা ও পোকা চাল।

এ বিষয়ে বরকল উপজেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে বরকল সদর ইউনিয়নে ১৭৬, সুবলং ইউনিয়নে ৩৭৬ আইমাছড়া ইউনয়নে ২১৬ ভুষণছড়া ইউনিয়নে ৪১২ ও বড়হরিণা ইউনিয়নে ১১২ পরিবার সহ মোট ১২শ ৯৩ পরিবার দারিদ্র ও ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ১০ টাকার মূল্যের ৩০ কেজি চালের সুবিধা পাবে। কিন্তু এ চাল নিম্নমানের ও খাবার উপযোগী না হওয়ায় তারা স্বল্প মূল্যেই পেলেও তাদের কাজে আসছেনা বলে সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করেন।

এদিকে সরকারের ঘোষিত খাদ্য বান্ধব প্রকল্পের ডিলার বিরো জয় চাকমা জানান, সরকারের চাল পঁচা গলা হলেও আমাদের সেটা নিতে হচ্ছে। আমাদের অভিযোগ করা কিংবা কোন দাবি করলেও গুরুত্ব নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।

প্রকল্পের চাল পরিবহনকারী ঠিকাদার মো. আলমগীর হোসেন জানান, চাল সরবরাহ করা আমার কাজ। চালের গুনগত মান যাছাই করা কাজ আমার নয়। প্রকল্পের চাল গুলো ভালো কি মন্দ তিনি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতেও রাজি হননি।

বরকল উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসিএলএসডিও নিশান চাকমা বলেন, সরবরাহকৃত চালগুলোর মধ্যে কিছু ভালো কিছু মন্দ রয়েছে। তবে আমি সব চাল দেখিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মন্টু মনি চাকমা জানান, সরকার বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল ক্রয় করায় চালগুলো ভালো মন্দ হতে পারে। এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতার কারনে ও এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের কিছুই করার থাকে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: