‘নারী’ থেকে যেভাবে ‘পরী’ হয়ে গেলেন তিনি!

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:১৬ এএম

‘দা লর্ড অব দা রিংস’ এর নাম জানে না এমন চলচ্চিত্রপ্রেমী খুঁজে পাওয়া কঠিন। ইংলিশ লেখক জে. আর টলকিনের লেখা মূল উপন্যাসগুলোও সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে পঠিত। পরে টলকিনের লেখার উপর ভিত্তি করে, হলিউডে সিনেমা তৈরি করেন বিখ্যাত ডিরেক্টর পিটার জ্যাকসন।

এই ট্রিলজির মাঝে ‘দা রিটার্ন অব দা কিং’ লাভ করে অস্কারের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার। তো ‘লড অব দা রিংস’ এর এইসব বই ও মুভি দেখে এক তরুণী আবার এতোটাই ফ্যান্টাসিতে ভুগছেন যে, নিজেকে ওইসব মুভিরই একজন ক্যারেক্টার হিসেবে ভাবতে শুরু করেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় রাজ্যে ১৯৮১ সালে জন্ম নেন ‘কিম্বারেল ইভেনটাইড।’ সবই ঠিক ছিল তার। স্বাভাবিকভাবেই জীবন-যাপন করছিলেন নিজের মত করে। কিন্তু লর্ড অব দা রিংসের বই ও মুভিগুলোর প্রেমে পড়ে ফ্যান্টাসির ভেতরে হারিয়ে গেলেন তিনি।

নিজেকে ভাবতে শুরু করলেন তিনি একজন ‘এল্ফ’ অর্থাৎ পরী। তার মতে, ‘তিনি পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছেন মানবসমাজকে আধ্যাত্নিকভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে।’ শুধু এমনটা ভাবাই নয় মুভির সেই এল্ফদের মত করে নিজেকে সাজিয়েছেন তিনি। সিল্কের গাউন আর মেকাপ নিয়ে পরীর মত সেজে থাকেন সবসময়। কথা-বার্তার ধরণও পাল্টে ফেলেছেন পরীদের মত করে।

নিজের এই পরিবর্তনে তার কোনো অনুতাপ নেই। বরং একজন পরী হতে পেরে যথেষ্ট ভাগ্যবতী মনে করেন তিনি। পাশাপাশি মানবসমাজকে স্পিরিচুয়ালি পরিবর্তনের চিন্তাও রয়েছে তার মাঝে। নিজের বাড়ি-ঘরকেও তিনি লর্ড অব দা রিংসের অনুকরণে সাজিয়েছেন মিথলজিক্যাল সাজে। এই কল্পনাঘেরা জগতেই এখন তার বসবাস।

মনোবিদদের মতে, ‘মানুষের এমন প্রবণতা মোটেও নতুন নয়। এর আগেও মুভি দেখে বা বই পড়ে অনেকে স্পাইডারম্যান বা ব্যাটম্যান হয়েছেন। কেউবা আবার নিজেদের ভাবতে শুরু করেছেন শার্লক হোমস বা জেমস বন্ড।’

বিশেষ এক ধরনের হরমোনাল চেঞ্জ ও মানসিক অবসেশনের মাধ্যমে এই ফ্যান্টাসির সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছেন মনোবিদরা। সূত্র: অডিটিসেন্ট্রাল

বিডি২৪লাইভ/এএআই/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: