বেহেশতে কি কি খাবার পরিবেশন করা হবে?

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৭ পিএম

জান্নাত বা বেহেশত নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। জান্নাত নিয়ে অনেক কৌতূহলও হৃদয়ের মাঝে উদয় হয়। ওখানের জীবন কেমন হবে, কী খাব, কেমন জীবনসঙ্গী পাব ইত্যাদি নানারকম বিষয় নিয়ে ভাবেন অনেকে। সেই কৌতুহল নিবারণের জন্যই আজকের লেখা। জান্নাত সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাঠকরা জানতে পারবেন।

মহানবী সা: জান্নাত সম্পর্কে কিছু তথ্য হাদিসে বর্ণনা করেছেন। এখানে তার কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:

রাসূল সা:-এর উম্মতের মধ্য থেকে ৭০ হাজার বিনা হিসেবে বেহেশতে যাবে। (আহমদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ্, আবু ওমামা (রা:)

যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্পসংখ্যক লোক বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বায়হাকি)

জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে তাদের রূপ সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। (মুসলিম)

হজরত যাবির (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘অবশ্যই জান্নাতবাসীরা জান্নাতে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের থুথু ফেলার, পেশাব-পায়খানা করার, কিংবা নাক ঝাড়ার প্রয়োজন হবে না। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, তাদের ভক্ষ্যবস্তুর (পেটে) কী দশা হবে? রাসূল (সা) বললেন, ঢেঁকুর ও পরিছন্নতার মাধ্যমে বের হবে। কিন্তু মেশকের সুগন্ধ বের হবে। আর জান্নাতবাসীদের অন্তরে আল্লাহর তাসবিহ ও তাহমিদ এমনভাবে বেঁধে দেয়া হবে যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস (অর্থাৎ জান্নাতবাসীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে থাকবে)।’ (সহীহ মুসলিম)

জান্নাতবাসিনী কোনো হুর (নারী) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার ওড়নাও গোটা দুনিয়া ও সম্পদরাশি থেকে উত্তম। (বুখারি)

জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম।(মুয়াত্তা)

জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরি ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রুপার। (বুখারি ও মুসলিম)

জান্নাতিদের খাবারগুলো ঢেঁকুর এবং মিশক্ ঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যাবে। (বুখারি ও মুসলিম)

জান্নাতিরা সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। কোনো হতাশা ও দুশ্চিন্তা থাকবে না। তাদের পোশাক পুরনো হবে না। (মুসলিম)

জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবেন। তাঁরা বৃদ্ধ হবেন না এবং তাঁরা হবেন চিরযৌবনা। (মুসলিম)

একবার এক ইহুদি পাদ্রী রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) ঠিক প্রশ্নই করেছিলেন জান্নাতে কি ধরনের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে? জান্নাতিরা জান্নাতে প্রবেশ করার পর সর্বপ্রথম তাদেরকে কী খাবার পরিবেশন করা হবে?

উত্তরে রাসূলুল্লাহ বললেন- ‘জান্নাতিদের মাছের কলিজার পাশের যে মাংস থাকে তা দিয়েই পরিবেশন করা হবে।’

এর পর ইহুদি আবারও জিজ্ঞেস করল, ‘এর পর কী পরিবেশন করা হবে?’

রাসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘এরপর জান্নাতিদের জন্য জান্নাতে পালিত গরুর গোশত পরিবেশন করা হবে।’

এরপর ইহুদী জিজ্ঞেস করল, ‘খাওয়ার পর পানীয় হিসেবে কী কী পরিবেশন করা হবে?’ 

রাসূলুল্লাহ এবার বললেন, ‘সালসাবীল নামক ঝর্ণার পানি পরিবেশন করা হবে জান্নাতিদের।’ (সহীহ মুসলিম- কিতাবুল হায়েজ) তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: