মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে হাজারো মুসল্লিদের নামাজ আদায়! 

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:০৩ পিএম

নাটোরের সিংড়ায় পল্লী বিদ্যুতের একটি ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের নিচে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছে পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লার কোটপাড়া বাইতুল্লাহ জামে মসজিদের হাজারো মুসল্লি। এ দিকে এখন পর্যন্ত মসজিদের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে তিনজন শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করেছে। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে জীবন অতিবাহিত করছে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার। 

তাই জনস্বার্থে লাইনটি দ্রুত অপসারণ করার দাবি জানিয়েছেন কোটপাড়া বাইতুল্লাহ জামে মসজিদের মুসল্লিরা। আর এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে লাইনটি অপসারণের জন্য আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ।

সূত্রে জানা যায়, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জোনাল অফিস সিংড়ার আওতায় পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লায় ঝুঁকিপূর্ণ একটি পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইনের নিচে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে জীবন যাপন করছে অর্ধ শতাধিক পরিবার। 

এছাড়াও বাইতুল্লাহ জামে মসজিদের ছাদে ছোয়া ছোয়া অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতের একটি ঝুঁকিপূর্ণ একটি লাইন থাকায় মসজিদের হাজারো মুসল্লি মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে নামাজ পড়ছে এবং মসজিদের দ্বি-তল ভবন করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুতের লাইনে জড়িয়ে ৩ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আর ঝড়-বৃষ্টিতে প্রায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ঘটনা শিকার হতে হয়েছে।

স্থানীয় মুসল্লি অ্যাডভোকেট আলী আজগর খান বলেন, এটা পল্লী বিদ্যুতের একটি থ্রি-ফেজ লাইন ছিল, কিছুটা অকেজো হয়ে বর্তমানে ওয়ান ফেজ চালু রয়েছে। আর এই লাইনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ দ্রুত অপসারণ করা প্রয়োজন। নইলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. শাহাদৎ হোসেন ও আবু হায়দার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুতের এই লাইনটি অপসারণের জন্য এলাকাবাসী চেষ্টা করে যাচ্ছে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা হয়নি।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মো ওসমান আলী বলেন, মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বি-তল ভবনের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনে আটকে আবু সাঈদ ও আব্দুল কাদেরসহ তিনজন শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তাই এখন আর কোন মিস্ত্রি মসজিদের কাজ করতে চাচ্ছে না। তাছাড়া মুসল্লিরাও প্রতিদিন মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে নামাজ আদায় করছে। আর লাইনটি অপসারণের জন্য গত ৪ আগস্ট স্থানীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের জোর সুপারিশ নিয়ে মুসল্লিদের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ এই লাইনটি অপসারণ হবে তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ (সিংড়া) এর ২ নম্বর এলাকার পরিচালক ও সমিতি বোর্ড এর সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ স্বপন বলেন, লাইনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়ই ওই লাইনে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত তিনজন ব্যক্তি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তও হয়েছে। লাইনটি অপসারণ হওয়া খুবই দরকার।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের এজিএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। 
 
বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: