অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতন 

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:২৫ পিএম

ভোলার চরফ্যাসনে শ্বশুর কর্তৃক সোনিয়া নামের এক পুত্রবধূকে গাছে বেঁধে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দক্ষিণ মাদ্রাজ গ্রামের সাবের আহম্মেদ দিদারের (শ্বশুর) বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে সোনিয়া শশীভূষণ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার বিষয়টি আমলে নিয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা রুজু করেন।

মামলা এজাহারের পরে শশীভূষণ থানা অফিসার ইনচার্জ হানিফ শিকদারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সোনিয়ার শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ছনিয়ার শ্বশুর সাবের আহমদ দিদার ও তার শাশুড়ি কোহিনুর বেগম এবং তার স্বামী রাসেল দিদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারের পরে আসামিদেরকে কোর্টে চালান করা হয়।

নির্যাতিত সোনিয়া বলেন, সাবের আহম্মদের ছেলে রাসেল দিদারের সাথে দুই বছর আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার শ্বশুর ও জামাই ৯০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে।

তাদের দাবিকৃত যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়। বাকী ৪০ হাজার টাকার জন্য প্রায় চাপ প্রযোগ করে। অনেক সময় গোয়াল ঘরের মধ্যে নিয়ে বেঁধে রাখতো। বিষয়টি তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। উল্টো তারা ধমক দিতো। সোনিয়া বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা।

সর্বশেষ (৭ সেপ্টম্বর) তাকে গর্ভপাত ঘটানোর প্রস্তাব দিলে সে রাজি না হওয়ায় সোনিয়াকে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি বেধরক মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। তার শ্বশুর ও স্বামী মিলে ইতোপূর্বে তার গর্ভের একটি সন্তান নষ্ট করেছেন বলেও জানান তিনি।

শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ হানিফ সিকদার জানান, কোন অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না, আমি অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে সোনিয়ার শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।

বিডি২৪লাইভ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: