‘চাকরির জন্য আর কারো দরজায় ঘুরতে হবে না’

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:০১ পিএম

চাকরির জন্য আর কারো দরজায় দরজায় ঘুরতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, ২০৪১ সাল নয়, ২০৩০ সালের মাঝে, সম্ভব হলে ২০২৩ ও ২৫ সালের মধ্যেই আমাদের প্রত্যেকটা ছেলে মেয়ে যারা অনার্স, মাস্টার্স, ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করবে তাদের চাকুরিতো হবেই, পাশাপাশি সবার শতভাগ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডস্থ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে মাত্র পাঁচ দিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এতে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। তিনি এক সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তী ১০০ বছর দেশকে এগিয়ে নিতে কি কি করতে হবে তিনি সেই রূপরেখা তৈরি করে গেছেন। তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমি সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছি।

মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমরা এখন তেল, গ্যাস ও কয়লা ব্যবহার করছি। তেল-গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে ৬৮ বছর। কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে ১১৪ বছর। তাই আমাদেরকে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এতে বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে না। প্রতি ১ দিনের সূর্যের আলো থেকে সংগৃহীত বিদ্যুৎ দিয়ে সারা বিশ্ব এক বছর চলতে পারবে।

সরকারিভাবে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার নিশ্চিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা কাজ করছি। আমার নির্বাচনী এলাকায় সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার শুরু করে দিয়েছি। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের উদেশ্যে বলেন, ভবিষ্যতে যেন কোনো গ্রাহক হয়রানি না ঘটে। বিল তৈরিতেও আরো সর্তক হতে হবে। বিল বকেয়ার ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। কুমিল্লা শহরের উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। আগামীতে শহরকে দক্ষিণে প্রসার করতে হবে। আমার বিশ্বাস তিনি শহরকে দক্ষিণে সাজাতে পারবেন।

সমিতির সিনিয়র জিএম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রূপালী মণ্ডল, লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম ইয়াসির আরাফাত, সদর দক্ষিণ ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, লালমাই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, লালমাই সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মুমিন মজুমদার, মন্ত্রীর এপিএস কে এম সিংহ রতন প্রমুখ। জাতীয় বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষে ৩জন সেরা গ্রাহক, ১জন সেরা কর্মকর্তা, ১জন সেরা কর্মচারীকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: