৭ মাস পর ফের যমুনা সার কারখানার উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:৩৯ পিএম

গ্যাস সঙ্কটের কারনে দীর্ঘ ৭ মাস পর দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান তারাকান্দি যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল) উৎপাদন আবারও শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেএফসিএল কর্তৃপক্ষ কারখানার উৎপাদন শুরু করে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দফায় দফায় গ্যাস সঙ্কটের কারনে বন্ধ হয়ে যাওয়া যমুনা সার কারখানা প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লোকসান মাথায় নিয়ে শনিবার দুপুরে সার উৎপাদন শুরু করেছে। তিতাস গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি পেট্রোবাংলার গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প খাতে গ্যাস সঙ্কট মোকাবেলার অজুহাতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ যমুনা সারকার খানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার পর আবারো সংযোগ পেয়ে সার উৎপাদন শুরু হয়েছে।

দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বন্ধ থাকার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর সরকারি সিদ্ধান্তে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় শনিবার দুপুর ১২টায় কারখানা কর্তৃপক্ষ সার উৎপাদন শুরু করে। এর মাঝে এলাকাবাসী, এবং শ্রমিকদের আন্দোলনের কারনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্যাস সরবরাহ পেয়ে কারখানায় ১৯ ফেব্রুয়ারি সার উৎপাদন শুরু করে। গ্যাসের প্রেসার কম থাকায় ২০ দিন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কারখানা চললেও পূনরায় ৯ মার্চ রাতে কর্তৃপক্ষ গ্যাস সঙ্কটে সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। কারখানাটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় দানাদার ইউরিয়া সার ও এ্যামোনিয়া বিক্রি খাতে প্রায় ৬শত কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় ২০৫ দিন যমুন সারকার খানায় সার উৎপাদন বন্ধ ছিল বলে জানাগেছে।

&dquote;&dquote;

সার কারখানা ১ দিন উৎপাদন বন্ধ থাকলে সরকারকে ৩ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হয়। যমুনা সার কারখানায় থেকে ১৯ টি জেলার প্রায় ২ হাজার সার ডিলার সার সরবরাহ করে থাকেন। দীর্ঘ দিন পর যমুনায় সার উৎপাদন শুরু হওয়ায় কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিক, এলাকার ব্যাবসায়ী, পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে উৎফুল্ল ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

উল্লেখ্য, বিসিআইসি‘র নিয়ন্ত্রণাধীন যমুনা সার কারখানা কেপিআই-১ মান সম্পন্ন দেশের বৃহৎ ও একমাত্র দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান যমুনা সারকারখানাটি ৩৭০ পি এস আই চাপে ৪৬ এমএমসিএফডি গ্যাসে দৈনিক ১৭০০ মে. টন ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম। এ কারখানা বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় সারের চাহিদা পূরণ করে আসছে।

&dquote;&dquote;

এ ব্যাপারে যমুনা সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবা সুলতানা বলেন, তিতাস গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি সেচ কাজে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কারখানার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সরকারি সিদ্ধান্তে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় শনিবার ইউরিয়া করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের বৃহত্তম এই সার কারখানায় প্রতিদিন এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন দানাদার ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়। কারখানার ইউরিয়া সার বাৎসরিক উৎপাদন লক্ষ মাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার মেঃ টন।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: