ছাত্রী গুম, ঘরে মিলল রক্তমাখা ছুরি ও মাংসের টুকরো 

প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ পিএম

কুয়াকাটায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গুমের ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রীর শোবারঘর থেকে রক্তমাখা দুটি ছুরি ও তার ব্যবহৃত পায়ের নূপুর এবং দুই টুকরো মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। তার ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেছে। তবে প্রকৃত ঘটনা কী তা নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে কুয়াকাটা উপজেলার খানাবাদ কলেজসংলগ্ন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ ছাত্রীর নাম মরিয়ম (১৫)। সে মহিপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে একই এলাকার মৃত বাবুল মল্লিকের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতের খাবার খেয়ে মৃত বাবুল মল্লিকের স্ত্রী নূরজাহান (৪০) তার শিশুপুত্র হামিম (৩) ও মেয়ে মরিয়মসহ এক খাটে ঘুমিয়ে পড়েন।আর ঘরের দোতলায় নূরজাহানের বড় মেয়ে রেশমা (১৯) তার স্বামী মাঈনুলকে নিয়ে ছিলেন।

এরপর রাত ৩টার দিকে রেশমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে নেমে ঘরে ওঠার সময়ও বোন মরিয়মের সঙ্গে কথা বলেন। সকালে মা নূরজাহান বেগমের চিৎকারে ঘরের সবার ঘুম ভাঙে। এ সময় ঘরে মরিয়ম ছিল না। বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গেছে।

খবর পেয়ে মহিপুর থানা পুলিশ বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

স্থানীয় জানান, মরিয়মকে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ গুম করেছে। তাদের মতে, রেশমা রাতে ঘরের দরজা খুলে বাইরে আসার সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিল। এর পর সুযোগ বুঝে তাদের মিশন সম্পন্ন করেছে। সব মিলিয়ে স্থানীয়দের মনে নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, রক্তমাখা দুটি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নূপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেজেতে পাওয়া গেছে। জীবিত বা মৃত কোন অবস্থাতেই মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি। ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও পরিবারের কেউ টের না পাওয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, রক্ত দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং প্রকৃত ঘটনার অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: