দেশের সর্ববৃহৎ ব্যতিক্রমী দুর্গাপূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৪:১৬ পিএম

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শারদীয় দুর্গা পুজা। এখন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার কারিগররা। এরই মধ্যে মাটির কাজ শেষ হয়েছে। বরাবরের মতো যেন আয়োজনের কোন কমতি নেই। 

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মহাভারত অবলম্বনে স্বর্গ ও নরকের কাহিনীকে ধারণ করে তিন শতাধীক দেব-দেবীর মূর্তি তৈরী করেছেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর আলোকদিয়া গ্রামে সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে। 

যা এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ! বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি চতুর্থ তলা বিশিষ্ট মন্ডপটিতে এ বছর ৮ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই মন্ডপকে ঘিরে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এখন পুরোদমে চলছে বাশ ও কাঠ দিয়ে মঞ্চ তৈরি। কয়েকদিনের মধ্যে পুরোপুরি সেজে উঠবে মন্ডপটি। প্রতিমা শিল্পী নিমাই জানান, জেলা নয় দেশের মধ্যে আয়োজনটা যেহেতু বড়, পুরো আয়োজনটি যাতে দৃষ্টি নন্দন হয় সেজন্য পুজার দুই মাস আগে থেকেই কাজ শুরু করতে হয়। 

এখন দম ফেলার সময় নেই। রাত ও দিনে একই ভাবে কাজ চলছে। মন্দিরে সাজসজ্জার দায়িত্বে থাকা ফজলুল শেখ জানান, এখন প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেড়শত শ্রমিক কাজ করছে। মঞ্চ তৈরি, সাজসজ্জা ও প্রতিমা রংয়ের কাজ শেষ হবে ষষ্ঠীর আগেই।

এলাকাবাসী জানান, এত বড় আয়োজন তারা হিন্দু- বৌদ্ধ -খ্রীষ্টান সকলে মিলে আনন্দ করে থাকেন প্রতি বছরের ন্যায় একবারও দেড় লক্ষ লোকের সমাগম হবে এখানে। এরই মধ্যে প্রতিমা দেখতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। এ পুজার প্রধান পৃষ্টপোষক ও আয়োজক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এই এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যা কম। এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরাই বেশি সহযোগিতা করে। সকলে মিলে একটি সুন্দর পরিবেশে পুজার আনুষ্ঠানিতকা শেষ হয়। আর মন্দির কমিটির সভাপতি বিধান চন্দ্র ভট্টাচার্য্য জানান,এবছর পুজায় কিছুটা ভিন্নতা ধাকছে। 

এতে মানুষ পুজা উপভোগ করতে পারবে আবার ধর্মীয় বিষয় গুলো জানতে পারবে। বালিয়াকান্দি থানার অফিসারা ইনচার্জ হাসিনা বেগম জানান, আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পুজা মন্ডপ রয়েছে বালিয়াকান্দিতে আর এই অঞ্চলের মধ্যে বড় পুজা হবে আলোকদিয়া দুর্গা মন্দিরে। আমরা দুর্গা পুজার তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখবো। পাশাপাশি র‌্যাব ও পুলিশের টহল ব্যাবস্থা থাকবে। এ বছর রাজবাড়ী জেলার পাচটি উপজেলায় ৪ শতাধীক মন্দিরে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে কয়েকশত কারিগর এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বিডি২৪লাইভ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: