স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে স্বামীর আত্মহত্যা

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারগারচালা) গ্রামে শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত স্বামী মোর্শেদ আলম (৩২) নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার তরগাঁও গ্রামের সিরাজ সরকারের ছেলে। সে স্থানীয় টি ডিজাইন কারখানার শ্রমিক। গত ৭ বছর আগে শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের (দারগারচালা) বাচ্চু মিয়ার মেয়ে স্বপ্নার সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মোর্শেদ আলম স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ীতেই বসবাস করে আসছিল। তাদের সংসারে স্বপ্নিল (৪) নামের এক শিশু সন্তান আছে। গুরুতর আহত স্ত্রী স্বপ্নাও স্থানীয় এসকিউ সেলসিয়াস নামের এক পোশাক কারখানার শ্রমিক।

উভয় পরিবারের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য মতে, গত সাত বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে স্বপ্না ও মোর্শেদ আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি ছেলের পরিবার মেনে না নেয়ায় মেয়ের বাড়িতেই তারা বসবাস করত। এসব কারণেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝগড়া লেগেই থাকত। শনিবার সকালে তাঁরা উভয়েই কারখানার কাজে যোগ দেয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে সড়ক ধরে হেঁটে কিছু দুর যাওয়ার পরই উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে স্বামী তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় স্ত্রী মাটিতে পড়ে গেলে একই ছুরি দিয়ে নিজের গলায় আঘাত করেন র্মোশেদ আলম। এ ঘটনা পথচারীরা দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে স্বজনরা এসে উভয়কে উদ্ধার করেন।

গুরুতর আহত স্বপ্নার ভাই শাহজালাল জানান, এ খবর পাওয়া মাত্রই তারা উভয়কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন। এসময় হাসপাতালে নেয়ার পথে মোর্শেদ আলম মারা গেলেও বেঁচে যান তার বোন স্বপ্না। গুরুতর আহত স্বপ্নাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, ধারণা করা যাচ্ছে পারিবারিক কলহ থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও এ বিষয়ে পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

বিডি২৪লাইভ/এমআর