বাংলাদেশের সম্ভাবনা জিইয়ে রাখছে ভারত

বাাঁচা-মরার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ ভালো করলেই চলছে না বাংলাদেশের। আবুধাবির মাঠে খেলার পাশপাশি নজর দুবাইয়েও দিতে হচ্ছে। কারণ, আফগানিস্তানের বিপক্ষে শুধু জয় পেলেই যে চলছে না। ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের অমঙ্গল চিন্তাও করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। পাকিস্তান জিতলে যে আজ জিতলেও পরের ম্যাচে কঠিন সমীকরণের সামনে পড়বে বাংলাদেশ। সে হিসেব অনুযায়ী দুবাইয়ের ম্যাচের প্রথমার্ধ সুখবরই দিচ্ছে। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে শেষ ১০ ওভার শুরু করা পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়েছে ২৩৭ রানে।

বড় স্কোরের আশা জাগিয়েছিল পাকিস্তান। আগের ম্যাচের নায়ক শোয়েব মালিক আজও তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন। ভালো খেলছিলেন যথেষ্ট। ৫৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে দুই শ পার করিয়েছেন প্রায় একাই। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে নিয়ে প্রথমে ধাক্কা সামলে নিয়েছেন। ১০৭ রানের জুটি গড়ে সরফরাজ (৪৪) ফিরে গেলেও হাল ছাড়েননি। আসিফ আলীকে নিয়ে প্রতি আক্রমণে গেছেন। মাত্র ৬টি বাউন্ডারি মেরেও ৯০ বলে ৭৮ রান তুলেছেন। স্ট্রাইক রোটেট করেই দলকে ওভার প্রতি পাঁচ রান এনে দিয়েছেন।

চল্লিশ ওভারের পর থেকেই রান তোলায় মন দেয় পাকিস্তান। প্রথম তিন ওভারেই ত্রিশ রান তুলে ফেলে তারা। কিন্তু দুই শ রান পার করার পরই ঝামেলায় পড়েছে পাকিস্তান। যখনই রানের গতি বাড়ানোর সময়, ঠিক তখনই বুমরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন শোয়েব মালিক। এদিকে পরের ওভারেই আসিফও চাহালের বলে বোল্ড হয়ে পাকিস্তানের বড় স্কোরের স্বপ্নটা শেষ করে দিয়েছেন। ২১ বলে ৩০ রান তোলা আসিফ ফেরার পর শাদাব, নওয়াজরা দলকে অলআউট হওয়া থেকে বাঁচালেও প্রয়োজনীয় ঝড়টা তুলতে পারেননি। প্রথম তিন ওভারে ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েও শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৬৮ রান তুলেছে পাকিস্তান।

বিডি২৪লাইভ/এএআই