নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩৫ এএম

জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আমেরিকার নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রবিবার স্থানীয় সময় দুপুরে নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। এছাড়া বিমানবন্দরের বাইরে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

গত শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। লন্ডনে একদিন অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। বর্তমানে শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘে এবারের সফরে ৫০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও তার সফরসঙ্গী হয়েছে।

নিউইয়র্কের মিডটাউনের হোটেল হিলটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। একই দিন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেবেন এবং সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বছর সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য ‘মেকিং দি ইউনাইটেড নেশন্স রিলেভেন্ট টু অল পিপল: গ্লোবাল লিডারশিপ অ্যান্ড শেয়ারড রেসপনসিবিলিটিস ফর পিসফুল, ইকুইট্যাবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল সোসাইটিজ।’

রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বশান্তি, নিরাপদ অভিবাসন, ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতাদের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও দেশের চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থসামাজিক অর্জন তুলে ধরবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানান, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুটি পুরস্কার গ্রহণ করবেন। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় তার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করবে। পাশাপাশি গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন তাঁকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনিশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ অক্টোবর সকালে লন্ডন হয়ে দেশে ফিরবেন।

বিডি২৪লাইভ/ওয়াইএ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: