জবির প্রথম সমাবর্তন ফেব্রুয়ারিতে

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৫:৪৪ পিএম

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের প্রথম সমাবর্তন আগামী বছরের ফেব্রয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সমাবর্তন প্রস্তুতি কমিটি। প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর পর প্রথম সমাবর্তনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে এগারোটায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের কনফারেন্স রুমে সমাবর্তন কমিটির প্রথম সভায় এ সিন্ধান্ত গৃহিত হয়।

উক্ত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কেরানীগঞ্জে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নিজস্ব ভূমি রয়েছে সেখানেই প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তনের আগেই জায়গা গুলো মাটি বা বালু দিয়ে ভরাট করা হবে। ২০০৫ সাল থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি করা সকল শিক্ষার্থীদের এক সাথে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ২২-২৩ হাজার শিক্ষার্থী সমাবর্তন পাবে।

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদের ডিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, আইন অনুষদের ডিন, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রধান প্রকৌশলী, ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে, উক্ত সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু সেখানে শুধু শাখা ছাত্রলীগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া অন্য কোনো সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।

অন্যান্য ছাত্র সংগঠন কেন উপস্থিত ছিলনা এ বিষয়ে জানার জন্য কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সমাবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর সমাবর্তনের প্রস্তুতি নিতে একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক এবং প্রশাসন ও একাডেমিক অ্যান্ড কাউন্সিল শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে সদস্য-সচিব করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই কমিটি গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনের উপযুক্ত স্থান ও সময় নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ণ এবং সমাবর্তনের আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যথাসম্ভব দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করে উপাচার্য বরাবর সুপারিশ করতে কমিটিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: