স্মরণীয় এক প্রেমের গল্প!

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৩ পিএম

আইরিশ বংশোদ্ভুত এক মার্কিন যুবক। নাম ডেভিড উইন্সটন ডকিন্স। ধনাঢ্য ও অভিজাত ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান তিনি। টেক্সাসে বাবার রয়েছে বিশাল সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। তারপরও অন্যদের মত বখে যাওয়া ছেলে ছিলেন না ডেভিড। পড়াশোনায় ভালো ছিলেন যথেষ্ট। এছাড়া ফটোগ্রাফি আর ভ্রমণের নেশা ছিল তার। অবসরে সাহিত্য পড়তেন প্রচুর। এছাড়া বাবাকে বলে অল্প বয়সেই খুলেছিলেন একটি দাতা সংগঠন। দুস্থ মানুষদের সহায়তায় এগিয়ে যেতেন সংগঠন নিয়ে।

২১ বছর বয়সে এই গুণী তরুণই প্রেমে পড়লেন আকস্মিকভাবে। ভার্সিটিতে পড়া সুন্দরী ক্যারোলিন পার্কারকে দিয়ে ফেললেন মন। শুরুতে রাজি না থাকলেও পরে ক্যারোলিনও হার মানেন সুদর্শন ডেভিডের কাছে। দুজনের প্রেম যখন জমজমাট তখনই বাধা এল মেয়ের পরিবার থেকে। ক্যারোলিনের বাবা ও ভাই প্রতিবাদ জানালেন এই সম্পর্কের। তাদের কাছে ডেভিড ছিলেন ধনী বাবার এক বখাটে ছেলে। মেয়ের পরিবারও বেজায় প্রভাবশালী। তারা দ্রুতই অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দিলেন ক্যারোলিনকে।

বিরহে কাতর ডেভিড তাতে দমলেন না। দুই মাস পর তিনিও হাজির হলেন ক্যানবেরাতে। দেখা করলেন প্রেমিকার সাথে। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে এবারও বাধা এল পরিবার থেকে। এবার মেয়েকে ফ্রান্সে এক বন্ধুর কাছে পাঠালেন তার বাবা মরিস পার্কার। বাধ্য হয়ে পিছু নিলেন ডেভিড। প্যারিসের অলি-গলি খুঁজে ঠিকই পেলেন প্রেমিকার দেখা। কিন্তু এবারও বাধ সাধল পার্কার পরিবার। এবার মরিশাসে এক দামী রিসোর্টে রাখা হল ক্যারোলিনকে। সঙ্গে কয়েকজন বডিগার্ড ও দামী সিকিউরিটি সিস্টেম। এবার বেগ পেতে হল ডেভিডকে। মরিশাস গিয়েও কিছুতেই বের করতে পারছিলেন না সুন্দরী প্রেমিকাকে।

পরিশেষে ক্যারোলিন নিজেই দেখা করলেন তার সাথে। পালালেন দুজন। প্রথমে হাঙ্গেরি, এরপর বুলগেরিয়ায় থাকলেন বেশ কিছুদিন। তারপর স্পেন ও সুইজারল্যান্ড হয়ে জার্মানিতে গা ঢাকা দিলেন কয়েক মাস। সেখানেই পার্কার পরিবার আবারও ধরে ফেলে তাদের। ফলে আবারও বিচ্ছেদ। এবার মেয়েকে মরক্কোয় এক ব্যবসায়ীর কাছে রাখলেন মরিস। বাড়ানো হল নিরাপত্তা রক্ষী। কয়েক মাস নির্বিঘ্নে কাটল। কিন্তু দমে যাবার পাত্র ছিলেন না ডেভিড। শক্তি সঞ্চয় করে হানা দিলেন মরক্কোয়। প্রেমিকাকে উদ্ধার করে রওনা হলেন ইউরোপে।

বেলজিয়ামে কিছুদিন থেকে রওনা হলেন সুইডেনে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশেগুলোতে পার্কার পরিবার সেভাবে তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ফলে স্টকহোমেই নিরাপদে থাকতে লাগলেন তারা। অবশেষে পাঁচ বছর পর ২০১৫ সালে মেয়ের পরিবার রণে ভঙ্গ দেয়। সবার সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। ২০১৬ সালের জুনে টেক্সাসে ফেরেন নতুন দম্পতি। তাদের প্রেমের গল্প, রোমাঞ্চ ও অ্যাডভেঞ্চার ততোদিনে মানুষের মুখে মুখে। গণমাধ্যমেও সাড়া ফেলে ডেভিড ও ক্যাথরিনের বিশ্ব ভ্রমণ ও প্রেম কাহিনী। সূত্র: অডিটিসেন্ট্রাল

বিডি২৪লাইভ/এএআই/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: