'দুইটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তুলব'

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:২৪ পিএম

বঙ্গবন্ধুর আদর্শেকে ধারণ করে ছাত্র-জীবন থেকেই রাজনীতিতে পর্দাপন করে বর্তমানে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকারী এবং প্রকৌশলীদের শীর্ষ সংগঠন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) সভাপতি এক সময়ের তুখোরছাত্র নেতা কুমিল্লা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা ও সমসাময়িক রাজনীতি, জাতীয় ঐক্য, নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের ইশতেহারসহ নানা বিষয়ে নিয়ে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি২৪লাইভের স্টাফ করেসপডেন্ট মো: সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর

বিডি২৪লাইভ: আ'লীগ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পরেও কেন এ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ মনে করেন?

আবদুস সবুর: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জ্বলায় পোরাও, খুন, গুম ,জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে, বিএনপি-জামায়তের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করতে পারে। দেশের জনগণের জনমালের নিরাপত্তা দেয়ার এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে মোকাবেলা করাই চ্যালেঞ্জ।

বিডি২৪লাইভ: নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্য নিয়ে আ'লীগ কোনো শঙ্কিত কি না?

আবদুস সবুর: এটা কোনা জাতীয় ঔক্য নয়, এটা অশুভ শক্তির জোট। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ১৫ ও ২১ আগস্ট অশুভ শক্তির জোট করেছিল তাদের এ জোট। আওয়ামী লীগ একটি প্রচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা সাধারণ মানুষের রাজনীতি করি। দেশের জনগণই আমাদের মুল শক্তি। আওয়ামী লীগ কোনো জাতীয় ঐক্য নিয়ে শঙ্কিত নয়। জনগণের ঐক্যই বড় ঐক্য।

বিডি২৪লাইভ: ইশতিহারে কোন কোন বিষয় থাকতে পারে?

আবদুস সবুর: গ্রাম-গঞ্জের মানুষের সাথে কথা বলে তাদের কাঙ্খিত চাহিদা অনুযায়ী ইশতিহার করা হচ্ছে। আশা করা যায়, আগামী ইশতেহারেও বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু চমকই থাকবে। যা সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকার মান উন্নয়ন হবে। উন্নয়নের বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী একটি কথা বলেছেন গ্রামকে শহরে মত অধুনিকায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগণ আধুনিক টেকনোলজির সব সুযোগ সুবিধা পাবে। ইশতেহার নিয়ে দলের মধ্যে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০ বছরের একটি পরিকল্পনা করেছেন, যেটা ‘ডেল্টা ২১০০’ নামে পরিচিত।

বিডি২৪লাইভ: অনলাইনে মনোনয়নের আবেদন ও জমা দেয়া ব্যাবস্থা আছে কি না?

আবদুস সবুর: এখনোও অনলাইনে মনোনয়ন আবেদন ও জমা দেয়া ব্যবস্থা কারা হয়নি। তবে ভবিষ্যতে করা হবে।

&dquote;&dquote;

বিডি২৪লাইভ: বিএনপি এবং জাতীয় ঐক্যের নেতারা খালেদার জিয়া মুক্তিসহ ৭ দফা না মানলে নির্বাচনে অংশ নিবে না।

আবদুস সবুর: নির্বাচনে কোনো দল অংশ না নিলে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না। স্বাধীনতা বিরোধী ২১ ও ১৫ আগস্ট হামলাকারীদের জোট। এ জোটের ভবিষ্যত ভালো হবে না। খালেদা জিয়া মুক্তির পথ দুইটি, আইন আদালতের মাধ্যম অন্যটি রাষ্ট্রপতির কছে ক্ষমা চাওয়া। মুক্তির বিষয় সরকারের কোনো হাত নেই। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

প্রবিডি২৪লাইভ: নির্বাচনকালীন সরকারে কাদের থাকার সম্ভাবনা আছে?

আবদুস সবুর: নির্বাচনকালীন সরকারের সময় মন্ত্রীসভা ছোট করা হবে। সরকারের রুটিন ওর্য়াক অনুযায়ী কাজ করা হবে। নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিডি২৪লাইভ: বর্তমান এমপি থাকতে আপনাকে কেন মনোনয়ন দিবে বলে মনে করছেন?

আবদুস সবুর: জনগণ মনে করে আমি আসলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের জনমালের তুলনায়মূলক নিরাপত্তাটা আরও বেশি দেওয়া। সবদিক থেকে নিরাপদ ও শান্তিতে থাকবে। তাছাড়া তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা মূল্যয়ন হবে, সকল দাবি দেয়ার সুযোগ পাবে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা শতকরা ৯০ভাগ ভালো করছেন। আমি বলবো না শতভাগ ভালো কাজ করছেন। শতভাগ ভালো হলে তো আর পরিবর্তনের দরকার ছিল না। মানুষ যা প্রত্যাশা করে তা পূরণ করতে না পারলেই পরিবর্তন চায়। আওয়ামী লীগের মতো বড় একটি সংগঠনে অনেকই মনোনয়ন চাইতে পারে কিন্তু জনগণ যাকে সমর্থন দিবে তাকে প্রধানমন্ত্রী নৌকার মনোনয়ন দিবেন। আমি মনোনয়ন না পেলে প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকার পক্ষে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করবো।

বিডি২৪লাইভ: এমপি হতে পারলে এলাকার জন্য কী কী কাজ করবেন?

আবদুস সবুর: আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখেছি দাউদকান্দি ও মেঘনা ঢাকার সবচেয়ে কাছে। দাউদকান্দি এলাকটি নিম্নাঞ্চল এলাকা। এটি ফিন্যান্সিয়াল বায়োভ্যালু। ওয়াটারবোর্ড ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। মেঘনা ধনতলার মতো আমরা যদি বেড়িবাধ দেই। দাউদকান্দিতে বেড়িবাধ। নদীভাঙ্গনসহ আরও কয়েকটি প্রকল্প নিয়ে প্রায় ২হাজার ৫শত থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। এই আসনটিকে বন্যা মুক্ত করবো। বেড়িবাধ নিমার্ণ করতে পারলে বর্ষাকালে এই অঞ্চলের কৃষকরা তিন ফসল ঘরে তোলতে পারবেন। মিঠা পানির মাছ চাষ করতে পারে। মেঘনা ও দাউদকান্দিতে দুইটি স্যাটেলাইট টাউন গড়ে তুলবো। মেঘনাকে পৌরসভা করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে যে কমসূচি থাকবে তার মধ্যে গ্রামকে শহরের ন্যায় রুপান্তর করা। সেই লক্ষ্যে লোকজনর দাবি পূরণে এরই মধ্যে স্কুল, কলেজ নির্মাণ করা শুরু করেছি। পাশাপাশি আমাদের এলাকার ছেলেরা যাতে ঢাকা না হয়ে বাড়িতে বসে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিতে পারে এ জন্য একটি মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক কলেজ করবো। দাউদকান্দি ও মেঘনাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করবো।

বিডি২৪লাইভ/এসআই/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: