‘প্রেম করলেও বাচ্চু ভাই, ছ্যাকা খাইলেও বাচ্চু ভাই’

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:০২ পিএম

কিশোর বয়স থেকেই স্বপ্ন বুনছিলেন সংগীতের জাদুকর শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। পরিবারের তেমন কেউ গানের সঙ্গে না থাকলেও শৈশব থেকেই গানের প্রতি তার ঝোঁক ছিল। আধুনিক-লোকগীতি ও ক্লাসিক্যালের পাশাপাশি শুনতেন প্রচুর ওয়েস্টার্ন গান।

ব্যান্ড কিংবা গিটার- দুটোতেই তিনি ছিলেন কিংবদন্তি। তাকে বলা হয়, বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত এগিয়ে নেয়ার অন্যতম অগ্রপথিক। 

বৃহস্পতিবার সকালে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাচ্চু মানেই উন্মাতাল ভক্তে পরিপূর্ণ গ্যালারি। অথচ মাত্র ৫৬ বছর বয়সেই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন রুপালি গিটার, মায়াবি সকালের মায়া। দেশীয় ব্যান্ড সংগীতের তিনি মধ্যমণি।

দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা ও লিড গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চু মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার সকালে অজ্ঞান অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কিংবদন্তি এ সঙ্গীতশিল্পীর অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সঙ্গীত জগতসহ সকল স্তরের মানুষ এ শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর খবরে স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন ভক্তরা। ছুটে গেছেন তারকারাও। সেখানে কথা বলেন ব্যান্ডশিল্পী থেকে অভিনয়ে আসা সুমন পাটোয়ারী।


সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি আজ সুমন পাটোয়ারী, আপনারা যে আমাকে চেনেন -তার একটির বড় অবদান হচ্ছে বাচ্চু (আইয়ুব বাচ্চু) ভাইয়ের। বাচ্চু ভাই যদি সাহস না যোগাতেন তাহলে আমি কোনোদিন সাংবাদিকতায় আসতাম না, কোনোদিন মিডিয়াতে আসতাম না। বাচ্চু ভাইয়ের সাথে বলার মতো আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে।’

ব্যান্ডশিল্পী থেকে অভিনেতা হওয়া সুমন আরও বলেন, ‘আমরা যখন প্রেম করেছি তখন বাচ্চু ভাই, আমরা যখন ব্যর্থ হয়েছি তখন বাচ্চু ভাই, আবার আমরা যখন ছ্যাকা খেয়েছি তখনও বাচ্চু ভাই। আসলে বাচ্চু ভাই আমাদের শৈশব।’

বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতে গিটার ও গানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। গানের পাশাপাশি গিটারেও ভক্তদের মাত করেছেন তিনি।

আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘রূপালি গিটার’, ‘রাত জাগা পাখি হয়ে’, ‘মাধবী’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘বার মাস’, ‘হাসতে দেখ’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সেই তুমি কেন অচেনা হলে’, ‘একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘মেয়ে ও মেয়ে’, ‘কবিতা সুখ ওড়াও’, ‘এক আকাশ তারা’ গানগুলো ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে।

কিংবদন্তি এ শিল্পীর মরদেহ আগামীকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে রাখা হবে। এর আগে তার জামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবারই চট্টগ্রামে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ নেয়া এবং শনিবার নিজ গ্রামে জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পীর মরদেহ শায়িত করা হবে।

বিডি২৪লাইভ/আজ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: