পানির কূপ থেকে বের হচ্ছে কেরোসিন!

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:১১ পিএম

নওগাঁয় একটি রিং কূপ থেকে পানির সঙ্গে কেরোসিন তেলের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। খবর পেয়ে কূপটি দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এলাকাবাসীর ধারণা কূপের পানি পরীক্ষা করলে হয়ত জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান পাওয়া যাবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সাপাহার উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গোডাউন পাড়া গ্রামের মৃত আজীমুদ্দীনের ছেলে দফিজ উদ্দীন (৬০) এর বাড়িতে গত প্রায় ১৫ দিন আগে আলোচিত কূপটির পানিতে কেরোসিন তেলের গন্ধ পাওয়া গেলে গত কয়েকদিন আগে মর্টার দিয়ে ঐ কূপের সম্পূর্ন পানি নিষ্কাশন করে ফেলার পরও তেলের গন্ধ ও তৈলাক্ত ভাব যায়নি। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তা দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন এলাকার শত শত উৎসুক মানুষ। এলাকাবাসীর ধারণা কূপের পানি পরীক্ষা করলে হয়ত জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

উল্লেখ্য এই উপজেলাটি বরেন্দ্র ভূমি এলাকা হওয়ায় পানির স্তর অনেক নিচে। নলকূপ থেকে খাবারের পানি সংগ্রহ করা সম্ভব হতো না। ফলে খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগতে হয় এলাকাবাসীর। এ কারণে খাবারের পানি সংগ্রহে গ্রামে গ্রামে কয়েকটি করে রিং কূপ বসানো হয়। এই গ্রামের দফিজ উদ্দীনের বাড়িতেও একটি রিং কূপ বসানো হয়।

এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক দফিজ উদ্দীন জানান, আমার বাড়ির মধ্যে যে কূপটি রয়েছে তার বয়স প্রায় ২০ বছর। এ এলাকায় যখন পানির খুব সমস্যা ছিল তখন থেকে পরিবারের বিভিন্ন কাজে এমনকি প্রতিবেশীরা এ কূপ থেকে পানি ব্যবহার করে আসছেন। গত বছর বোরিং করে কূপে আমি সাব-মার্সেবল পাম্প বসাই এবং সেখান থেকে পাম্পের মাধ্যমে ভাল পানি পাওয়া যায়। কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন থেকে ঐ কূপ থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধ ও তৈলাক্ত পানি বের হতে থাকে। এঅবস্থায় কূপের সম্পূর্ণ পানি নিষ্কাশন করে ফেলার পরও তেলের গন্ধ ও তৈলাক্ত ভাব যায়নি।

সাপাহার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সবুর আলী বলেন, কূপ থেকে কেরোসিনের তেল জাতীয় পদার্থের মতো কিছু একটা দেখছেন এলাকাবাসী বলে শুনেছি। যদি তেল জাতীয় পদার্থের সন্ধান পাওয়া যায় তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো হবে।

নওগাঁ সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মুমিনুল হক বলেন, তৈলাক্ত পানি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পানিতে যদি গ্যাস, আর্সেনিক বা যেকোনো তৈলাক্ত পদার্থ থাকে তা খাবার উপযোগী নয়।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: