বিজেপি এমপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:১৫ এএম

তসলিমা নাসরিনকে ঘিরে নানাবিধ বিষয় নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য। অন্য একটি হল তাঁর যৌন জীবন।

জীবনে তিন বার বিয়ে করেছেন তিনি। প্রথমটি আশির দশকে। পরের দু’টি ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে। বিয়ের বাইরেও যে তাঁর যৌন সম্পর্ক ছিল সেই বিষয়ে অবশ্য কোনও লুকোচুরি রাখেননি তসলিমা। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে তিনি নিজের যৌনতা ভাগ করে নিয়েছেন সেই বিষয়ে অনেক বিতর্ক আছে।

‘আমি অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। আমার স্বামীর নাম ইন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আমার বাবার নাম জর্জ বেকার। মায়ের নাম তসলিমা নাসরিন।’

বিজেপি সাংসদ-তসলিমা ‘অবৈধ’ সম্পর্ক ফাঁসের ঘটনা নিয়ে যখন ভারতীয় গণমাধ্যমে তোলপাড় তখন বিষয়টিকে অস্বীকার করলেন তসলিমা নাসরিন। এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদ জর্জ বেকার মুখ না খুললেও তসলিমা নাসরিন তার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন তিনি।

ফেসবুকে দেয়া তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাসটি বিডি২৪লাইভের পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো:

‘অঙ্কিতা ভট্টাচার্য গ্যাং একটা আজগুবি খবর দিয়েছে kolkata24x7 কে। kolkata24x7 ও সে খবর লুফে নিয়েছে প্লাস ওদের সাক্ষাতকারও নিয়েছে। সাক্ষাতকারের ভিডিও-ও খবরের সংগে জুড়ে দিয়েছে।’

&dquote;&dquote;‘kolkata24x7 থেকে কিন্তু কেউই আমার কাছে তথ্যের সত্যতা জানতে চায়নি। মেয়েটা আর সঙ্গের দুটো পুরুষলোক কী উদ্দেশে এমন সব মিথ্যে কথা বলছে, তা সাংবাদিকদের উচিত, বের করা। কোনও পাগল এসে যা তা বল্লো, সাংবাদিকদের কি তা প্রচার করা উচিত যাচাই না করে?’

‘অঙ্কিতার পুরোনো ছবি বলে যেটা চালিয়েছে, সেটা সল্টলেকে রেখাচিত্রমের শিল্পী রেখা চক্রবর্তী, আর তাঁর ছেলে অরুণ চক্রবর্তীর মেয়ের সঙ্গে তোলা। ছবিটা নিশ্চয়ই আমার ফেসবুকের এলবাম থেকে পেয়েছে।’

‘ভিডিওটা দেখলাম। তিনটে লোক kolkata24x7 কে কী সহজে উল্লু বানিয়ে গেল। নিজেদের আবার দাবি করছে হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশনের লোক বলে। ভয়ঙ্কর কান্ড। সাংবাদিকরা ফ্রড চিনতে পারে না? নাকি মজার খবর হলেই হলো? এতে কারও সম্মান হানি হলে হোক?’

বিডি২৪লাইভ/এএইচ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: