সরকারি চাকরির বয়স ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:২০ পিএম

৪০ তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনের আগে। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ।

শনিবার (২৭ অক্টোবর ) দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে মিছিল করে তারা শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন। এই অবরোধের কারণে শাহবাগ-ফার্মগেট, শাহবাগ-পল্টন, শাহবাগ-সায়েন্স ল্যাব ও শাহবাগ-টিএসসি অভিমুখী সড়কে যানযটের সৃষ্টি হয়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে দুপুর একটার দিকে শাহবাগে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। তিনি  আন্দোলনকারীদের দাবির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

অবরোধে বক্তারা বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বা ৩৩ করলেও মানা হবে না, ৩৫ বছরই করতে হবে। নবম সংসদের নির্বাচনের পূর্বেও চাকরিতে আবেদনের বয়স বাড়ানোর জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তার সুফল এদেশের ছাত্ররা এখনো লাভ করেনি। তাই আসছে নির্বাচনের আগেই এটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সঞ্জয় দাস বলেন, ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়। তারপর, দীর্ঘ ১৮ বছরেও চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়েনি। ২১ বছর পর সরকার অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৫৯ করলেও প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করেনি।

সঞ্জয় দাস আরও বলেন, আগে যেখানে একজন ছাত্র ৪/৫ বছর বয়সে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হয়ে ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সে এসএসসি পাস করতে পারত, এখন সেটা ১৬ বছরের আগে কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। স্নাতক ও সম্মান উভয় ক্ষেত্রে ১ বছর করে বৃদ্ধি করে যথাক্রমে ৩ ও ৪ বছর করা হয়েছে। সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের দুই বছর যোগ করলে একজন সম্মান পাস ব্যক্তির বয়স দাড়ায় ২২ বছর।

৩ বছর স্নাতকধারীর বয়স হয় ২৩ বছর। তাছাড়া, ফলাফল প্রকাশ, ভর্তি এসব কাজেও শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থীর ১-২ বছর চলে যায়। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে চাকরিতে প্রবেশের নিম্নসীমা ১৮ বছরও অযৌক্তিক। তাই রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দাবি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হোক।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: