রিকশার দখলে মানুষ চলাচলের ফুটপাত!
রাজধানীর রাস্তার পাশের ফুটপাতগুলো তৈরি করা হয়েছে মানুষ চলাচলের জন্য। অথচ সেই ফটুপাত দিয়ে হাঁটার সুযোগ পাচ্ছে না সাধরাণ মানুষ। অবৈধভাবে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে ছোট ছোট দোকান ও রিকশার গ্যারেজ। প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় চলছে এসব অবৈধ দখল। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা বিষয়টি দেখেও যেন, না দেখার ভান করছে বলে অভিযোগ পথচারীদের।
রাজধানীর ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করা নিয়েও যন্ত্রণা ও সমালোচনা কম হয়নি। এরপরও মোটরসাইকেল চালকদের কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না। তারা প্রতিদিনই চলাচলের জন্য ফুটপাত ব্যবহার করছেন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর কিছুটা কমলেও দিন যেতে না যেতেই আবার ফিরে গেছে পূর্বের অবস্থায়। তবে এখানে শুধু মোটরসাইকেলই নয়, দেখা গেল ফুটপাতে সারাদিনই থাকছে রিকশা।
রাজধানীর আগারগাঁও থেকে শ্যামলী যেতে রাস্তার বাম পাশে দেখা গেল একজন চালক ফুটপাত দিয়ে রিকশা নিয়ে সামনে যাচ্ছেন। অল্প কিছু দূর গিয়ে দেখে গেল আরও অনেকগুলো রিকশা ফুটপাতে রাখা। বোঝা গেল অনেকদিন থেকেই এখানে রাখা হচ্ছে রিকশাগুলো।
এ নিয়ে এক পথচারী ও রিকশা চালকের মধ্যে শুরু হলো বাকবিতণ্ডা। প্রাথমিকভাবে দেখা গেল রিকশা চালকেরই জিত হলো। কোনভাবেই থামানো গেল না রিকশা চালকের দাপট। ফুটপাতেই তালাবদ্ধ করে রাখলেন তার রিকশাটি।
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ফুটপাতে রিকশা রাখার কারণ জানতে চাইলে, কোন উত্তর না দিয়েই রিকশা চালক ওখান থেকে চলে গেলেন।
এ রাস্তার দু’পাশে অসংখ্যা সরকারি-বেসরকারি ও চিকিৎসালয় থাকায় সব সময়ই ব্যস্ত থাকে সড়কটি। ব্যস্ততম রাস্তার পাশে অবৈধভাবে রিকশা রাখায় বিপাকে পড়েছেন পথচারীরা।
শিহাব উদ্দিন নামের এক পথচারী বিডি২৪লাইভকে বলেন, এমনিতেই এ রাস্তার ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যেতে সমস্যা হয়। রাস্তার পাশে বহু প্রতিষ্ঠান থাকায় পথচারীর আনাগোনা একটু বেশিই থাকে। তারপরও ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেলের চলাচল বহুদিন থেকেই দেখে আসছি। তবে এখানেই এই প্রথম দেখলাম ফুটপাতে রিকশা। দেখে মনে হলো রিকশাগুলো অনেক দিন থেকেই রাখছে তারা।
রফিকউদ্দিন নামের আরেকজন পথচারী জানালেন, আমি এখান দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করি। রিকশাগুলো অনেক দিন থেকেই রাখছে। পুলিশের সামনেই রিকশা রাখা হচ্ছে। পুলিশ কিছুই বলছে না। বরং তাদের আরও সেল্টার দিচ্ছে পুলিশ। কেন সেল্টার দিচ্ছে পুলিশ- এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ কি জন্য সেল্টার দিচ্ছে বিষয়টি আমি জানি না। তবে পুলিশ এসব অবৈধ কাজে কেন সেল্টার দেয় এটাতো সবারই জানা।
বিডি২৪লাইভ/এএফকে/এমআর
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: