নিখোঁজ নয়, আত্মগোপনে ছিলেন সেই জাহিদ!

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ০৬:৫৩ পিএম

গত ৬ অক্টোবর নিখোঁজ হন জাহিদ হোসেন নামের এক যুবক। পেশায় তিনি টাইলস মিস্ত্রি। নিখোঁজ হওয়ার তথ্য জানিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি করে তার পরিবার। শনিবার (২৭ অক্টোবর) মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ জানায়, জাহিদ হোসেন নিখোঁজ হননি। অনেক ধার দেনা থাকায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তার এক পরিচিতজনের বাসায় তিনি এতোদিন ধরে লুকিয়ে ছিলেন বলে পুলিশ জানায়। 

দক্ষিণখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ তপন চন্দ্র সাহা’র (পিপিএমবার) নির্দেশে তাকে উদ্ধার করেন এসআই নাজমুল আলম। 

নাজমুল আলম বিডি২৪লাইভকে বলেন, জাহিদ হোসেন নিখোঁজ হননি। তিনি নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন। তার অনেক ধার দেনা থাকায় তিনি তার সহকর্মী আমিনুল ইসলামের শেওড়াপাড়া বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। আমিনুল ইসলাম তার সাথে টাইলস মিস্ত্রির কাজ করেন। তারা একে অপরের আগে থেকেই পরিচিত। তাকে শনিবার শেওড়াপাড়া থেকে উদ্ধার করে পরিবারকে খবর দিলে তার পরিবার আজ রবিবার (২৮ অক্টোবর) দক্ষিণখান থানা থেকে তাকে নিয়ে যায়। 

তিনি বলেন, প্রথমে এটাকে নিখোঁজ মনে হলেও তদন্ত করে জানতে পারি তিনি আত্মগোপনে আছেন। পরে আমিনুল ইসলামের বাসায় গেলে জাহিদ আত্মগোপনের বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় তিনি আমাদের সাথে থানায় চলে আসে। পরে তার পরিবারকে খবর দিলে তারা বরিশাল থেকে এসে আজ তাকে নিয়ে যায়। 

চাঁদা দাবির বিষয় জানতে চাইলে-তিনি বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার কারণে কিছু লোক তার পরিবারের কাছে ফোন করে চাঁদা দাবি করে। মূলত তারা নিখোঁজ হওয়ার সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কিছু ধান্দা করার চেষ্টায় ছিল। যারা চাঁদা দাবি করেছে তারা কেউ ঢাকার ভিতরে নয়। এমনকি জাহিদের সাথে তাদের ন্যূনতম যোগাযোগও ছিল না। তাদের একজনের লোকেশন ছিল ফরিদপুর এলাকায়। অথচ জাহিদ ছিলেন ঢাকার মিরপুরে এবং বিষয়টি জাহিদ নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি নিখোঁজ নয়, আত্মগোপনে ছিলেন। 

এ বিষয়ে জাহিদ হোসেনের পরিবার কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর দক্ষিণ খান এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি জাহিদ হোসেন। তার পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার দু’দিন পর গত ৮ অক্টোবর দক্ষিণ খান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জাহিদ হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদী থানার চর এলাকায়।

বিডি২৪লাইভ/এএফকে/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: