সংলাপের ফলের দিকে তাকিয়ে ইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংলাপের জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সরকারের যে সংলাপ রয়েছে এটির ফলের দিকে তাকিয়ে আছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
অন্যদিকে, আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংঙ্গে বৈঠকে বসছে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কার্যক্রম রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে। আগামী বৃহস্পতিবার সরকারের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের যে বৈঠক আছে সেখানে কোন সিদ্ধান্ত অথবা ফল পাওয়া গেলে সেটি আমরা গ্রহণ করব। তবে সেটি আইনের মধ্যে থাকতে হবে। আমরা আইনের বাহিরে যেতে পারব না। যেমন, আইন অনুযায়ী আমাদের নির্বাচন করার টাইম লাইন আছে, আমরা এ সময়ে মধ্যে নির্বাচন করব, এর বাহিরে যেতে পারব না।
রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন তফসিল অথবা ভোটের তারিখ নিয়ে আমাদের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বর্তমান যে প্রস্তুতি রয়েছে সে হিসেবে ডিসেম্বরের ২০ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে যে কোন দিন নির্বাচন করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, বুধবার আমাদের অন্ত্রমন্ত্রণালয় বৈঠক আছে। বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপ্রতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। শুক্রবার (২ নভেম্বর) আমি অফিস করব, শনিবার (৩ নভেম্বর) কমিশন সভা আছে।
শনিবার কমিশন সভার পর নির্বাচনের তফসিল দিবেন কি না- এমন প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে কোন দিন সভা করতে পারি। আমরা তফসিলের আগে একাধিক সভা করতে পারি। এটা কোন বিষয় না। তফসিলের বিষয়ে এখনও আমাদের সিদ্ধান্ত হয়নি।
নির্বাচন কমিশন কর্মকতারা জানান, আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক রয়েছে ইসির। বৈঠকের এজেন্ডা রয়েছে, নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরিকল্পনা; ঋণখেলাপি সংক্রান্ত্র তথ্য সংগ্রহ; নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং বার্ষিক ও পাবলিক পরীক্ষার সময়সূচি পর্যালোচনা। আরও রয়েছে ভোটকেন্দ্রের স্থাপনা মেরামত ও ভৌত অবকাঠামো সংস্কার; পার্বত্য দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টারে নির্বাচনি মালামাল পরিবহন ও ভোটহণ কর্মকর্তাদের আনা-নেওয়ার পদক্ষেপ; নির্বাচনি প্রচার; দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগ; পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে সহায়তা; আবহাওয়ার পূর্বাভাস ও আগাম প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ। সভায় উপস্থিত থাকতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা অনুরোধ করেছে ইসি।
সূত্র জানায়, তিন তারিখের কমিশন সভায় এজেন্ডায় রয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সংক্রান্ত বিধিমালার পর্যালোচনা।
ইসির উপ-পরিচাক (প্রশিক্ষণ) মুহাম্মদ ফজলুর রহমান জানান, সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ ও নির্বাচন পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। বুধবার সকালে নির্বাচন পশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটে এ ট্রেনিংয়ের উদ্বোধন করা হবে।
এদিকে বড়দিনের কাছাকাছি নির্বাচন না দেওয়ার দাবি খ্রিস্টানদের। ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উতসব বড়দিন। আর এ দিনটির কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন না দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাত করে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবি জানান।
বৈঠক শেষে খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও সাংবাদিকদের বলেন, বড়দিনের খুব কাছাকাছি যেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন নির্ধারণ না করা হয়, সেজন্য আমরা আবেদন করেছি। কমিশন আমাদের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে, আন্তরিকতার সঙ্গে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত দাবি বলা হয়েছে- একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দিন ২৫ ডিসেম্বরের খুব কাছাকাছি না নির্ধারণ করা। সম্ভব হলে নির্বাচনের দিন ২০ ডিসেম্বরের আগে কিংবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্ধারণ করা। এছাড়া নির্বাচনের আগে ও পরে খ্রিস্টান এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রভৃতি দাবিও জানানো হয়।
বিডি২৪লাইভ/এএইচ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: