শ্রমিকলীগ নেতার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০১৮, ০৪:১৫ এএম

বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে বাফার গুদামের ১৫৩ কোটি টাকার ৬ হাজার টন সরকারি সার আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক গুদাম কর্মকর্তা নবীরউদ্দিন খান এবং আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশিদুল ইসলাম রাজার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) আদমদীঘি থানায় দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।

সাবেক গুদাম কর্মকর্তা নবির উদ্দিনের বাড়ি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ধোপাপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। আর পরিবহন ঠিকাদার শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্দিরা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে।

দুদক জানায়, সান্তাহার বাফার গুদামে ৪ হাজার টন সার আত্মসাতের ঘটনায় একটি মামলা ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর আদমদীঘি থানায় করা হয়। তাতে আসামি করা হয়েছিল বাফার ইনচার্জ নবীর উদ্দিন খানকে। পরবর্তীতে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম তদন্ত করে দেখতে পান ৪ হাজার টন সার আত্মসাত নয়, আরো বেশি টন সার আত্মসাত করা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখতে পায় ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ এবং ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বিদেশ থেকে আমদানি করা এবং বিসিআইসির নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত মোট ২ লাখ ৪২ হাজার ২৪৯ দশমিক ২৫ মেট্রিক টন সার সান্তাহার বাফার গুদামে মজুদের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু অভিযুক্ত গুদাম কর্মকর্তা নবির উদ্দিন ও পরিবহন ঠিকাদার রাশেদুল ইসলাম রাজা পরস্পর যোগসাজসে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৬ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন সার হিসাবভুক্ত করে বাদ বাকী ৫২ হাজার ৩৪২ দশমিক ৮০ মেট্রিক টন সার আত্মসাত করেন।

২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৪ জুনের মধ্যে ওই পরিমাণ সার আত্মসাত করা হয়। যার বাজার মূল্য ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৫২ টাকা।

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: