বাপাউবো ব্লক নির্মাণে পাথরের পরিবর্তে বিল্ডিংয়ের ভাঙ্গা অংশ!

প্রকাশিত: ০৬ নভেম্বর ২০১৮, ০২:৪০ পিএম

বিভিন্ন উন্নয়নকাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ এবং বালির পরিবর্তে পাহাড়ের মাটির ব্যবহারের কথা শুনলেও এবার পাথরের পরিবর্তে পরিত্যক্ত বিল্ডিং ও ব্রিজের ফাইলিং পিলারের ভাঙ্গা অংশ ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। 

বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালীতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কক্সবাজার অঞ্চলের আওতাধীন ‌‘পেকুয়া মগনামা বেঁড়িবাধের’ ব্লক নির্মাণে এই অনিয়ম দেখা যায়। বাপাউবো এর কক্সবাজার অঞ্চলের সুপারেন্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, এই অনিয়ম মানা যায় না। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।   

কক্সবাজারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্যাকেজের অনুকূলে বাপাউবো’র উক্ত উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ বাস্তবায়ন করছে। পাথরের সহজ লভ্যতার কারণে প্রকল্পের ব্লক নির্মাণের স্থান হিসেবে বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর কুমারী নামক স্থানটি নির্বাচন করা হয়েছে বলে জানান, উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্তাধিকারী আতিকুল ইসলাম (সিআইপি)। 

ব্লক নির্মাণ স্থান লামার ফাঁসিয়াখালীর স্থানীয় লোকজন জানায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল ব্লক নির্মাণে পাথর ব্যবহার না করে পরিত্যক্ত বিল্ডিং ও ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ ব্যবহার করছে। তাছাড়া ব্লক নির্মাণে পাথর-বালি-সিমেন্ট মিশ্রণের খুব কম পরিমাণে সিমেন্ট দেয়া হচ্ছে। প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের সাথে ১২ ঝুঁড়ি পাথর ৬ ঝুঁড়ি বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। অর্ধশত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে দায়িত্বরত সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন প্রায় অনুপস্থিত থাকেন বলেও তারা জানায়। এতে করে ঠিকাদারের লোকজন তাদের মন মত কাজ করছে। 

নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে এই এলাকার কয়েকজন পাথর ব্যবসায়ী বলেন, তারা জনমানবহীন ও প্রকল্প এলাকা হতে ২৪ কিলোমিটার দূরে কাজটি করছে চুরি করার জন্য। ব্লকে বিল্ডিং ও ব্রিজের ভাঙ্গা অংশের ব্যবহার করছে। পাশাপাশি কিছু ব্লকে ভাল পাথর ব্যবহার না করে নিন্ম মানের মাটি পাথর ব্যবহার করছে। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন বলেন, বিল্ডিং ও ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ গুলো কিভাবে আসল আমি জানি না।  

বাপাউবো’র সহকারী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, নানা ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত যাওয়ার সুযোগ হয়না। 

উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্তাধিকারী আতিকুল ইসলাম (সিআইপি) বলেন, লামায় পাথর বেশি পাওয়া যায় বলে এখানে ব্লক নির্মাণের কাজ করছি। পাথর ব্যবসায়ীরা রাতে মাল দেয়। কিভাবে বিল্ডিং ও ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ এখানে এল আমি জানিনা। সরকারি দলের লোকজন পাথর দেয় না নিলে তারা নানা সমস্যা করে।  

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, বাপাউবো’র দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।   

বিডি২৪লাইভ/এমকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: