হঠাৎ যা ঘটল নয়াপল্টনে
আজ বুধবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকেই পুলিশের বেশ উপস্থিতি ছিল বিএনপির দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টন অফিসের সামনে। অফিসের সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার যান চলাচলের সুযোগ করে দেয় পুলিশ।
তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ আর ব্যারিকেড রাখতে পারেনি। নেতাকর্মীরা পুরো রাস্তা তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এরপরই উৎসব মুখর অবস্থা বিরাজ করে সেখানে। এর ঠিক আধা ঘণ্টা পর হঠাৎই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উৎসব মুখর নয়াপল্টন।
শুরুটা হয় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের শোডাউনকে ঘিরে। শোডাউনের দুই করমীকে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই শুরু সংঘর্ষ। রণক্ষেত্র হয়ে নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকা। এতে পুলিশ বিএনপির অনেকেই আহত হয়।
পুলিশ বলছে, পুলিশের ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বলছে অন্যভাবে। তাদের দাবি, কোন নেতাকর্মীকে লাঠিচার্জ করা হয়নি। যানচলাচলের জন্য রাস্তা থেকে তাদের সরিয়ে দিতে গেলেই ইটপাটকেল ছুঁড়ে তারা। তাদের থামাতে গেলেই সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেয় বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
এদিকে, বিএনপি নেতারা বলছে- পুলিশ ইচ্ছা করেই সংঘর্ষ বাধিয়েছে। নেতাকর্মীদের জনস্রোত দেখে সরকার সইতে না পেরে গুন্ডা লেলিয়ে দিয়েছে।
সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অলিগলিতে ডুকে পরলে সেখান থেকে বের করে দেয় পুলিশ। পরে নয়াপল্টনের রাস্তা দখলে নেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশকেও কিছুটা নিরব হতে দেখা যায়।
উপ-পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিনা উসকানিতে তারা আমাদের উপর আক্রমণ করেছে। এতে আমাদের ১৫-২০ সদস্য আহত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব বলেও জানান তিনি।
এ সময় নয়াপল্টনে ডিবি পুলিশকে রণপ্রস্তুতিতে দেখা যায়।
বিডি২৪লাইভ/এএফকে/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: