ঢালাইয়ের ৭ দিনের মাথায় ধসে পড়ল ছাদ

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৫৫ এএম

শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনায় নির্মাণাধীন পল্লী বিদ্যুত সাব অফিসের ছাদ ঢালাইয়ের ৭ দিনের মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী আর কর্তব্য কাজের অবহেলার কারণে ছাদটি ধসে পড়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয় চুক্তিতে ‘সান রাইস’ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ মাস ধরে নির্মাণ করছে শেরপুর নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন। গত ১০ নভেম্বর শনিবার থেকে পাহারা বসিয়ে এবং নির্মাণাধীন ভবনের চারপাশে কাপড়ের সামিয়ানা দিয়ে ঘেরাও করা হয়। ফলে স্থানীয়দের সন্দেহ জাগে। তবে সোমবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে কয়েকজন যুবক সুকৌশলে ওই ভবনে ঢুকে দেখেন ৭ দিন আগে ঢালাই করা ছাদ ভেঙ্গে মাটিতে পড়ে আছে। আর ঠিকাদারের লোকজন তা ঠিক করার চেষ্টা করছে।

এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ কাজের মান খারাপ বলে ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে। স্থানীয় লোকজনের সাথে একমত হয়ে শেরপুর পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোঃ মাশরুল হক খান বলেছেন, এই প্রকল্পে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন। ছাদ ভেঙ্গে পড়েছে স্বীকার করে জিএম জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

আরও জানা গেছে, গত ৬ মাস ধরে ওই এলাকায় পল্লী বিদ্যুতায়ন প্রকৌশল বিভাগের তত্বাবধানে ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। কয়েকদিন আগে ভবনের দু’তলার ছাদের কাজ শেষ হয়। গত সোমবার লোকজন দেখতে পায় ছাদ ভেঙ্গে গেছে এবং বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভবনটি কাগড়ের ছামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেয়।

কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে এ বিষযটি নিয়ে সন্দেহ এবং কানঘোষা শুরু হলে জানাজানি হয়ে যায়। তবে ভবনের ভিতর সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলি মিরাজুল ইসলাম ছাদ ভেঙ্গে পড়ার খবর মিথ্যা বলেই সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল কেটে দেন। তাকে বারবার চেষ্ঠা করেও আর পাওয়া যায়নি।

তবে সংশ্লিষ্ট কাজের তত্বাবধায়ক পল্লী বিদ্যুতায়নের প্রকৌশলী শেখ আহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, ছাদের অনুমতি না নিয়েই ছাদ তৈরি করা হয়েছে। কাজ নিম্নমানের হয়েছে এটা সঠিক নয় তবে কাজ করতে পদ্ধতিগত ভুল হয়েছে বলে ছাদ ভেঙ্গে গেছে।

শর্ত অনুযায়ী কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হবে- সুতারাং যাই হোক কাজ করে দিয়ে বিল নিতে হবে। ছাদ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন বিল ঠিকাদারকে দেওয়া হয়নি বলে প্রকৌশলী শেখ আহাম্মদ আলীর দাবি।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: