ইবির ‘বি’ ইউনিটের পাশের শর্ত শিথিল!

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ পিএম

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পাশের শর্ত শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ। 

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা যায়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ এর ৬০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৮ এবং লিখিত ২০ নম্বরের মধ্যে কমপক্ষে ৩ পেতে হবে। একজন শিক্ষার্থী লিখিত ২০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩ পেলে তবেই তার ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) গণনা করা হবে। এছাড়া কোটার ক্ষেত্রে এমসিকিউতে পাশ নম্বর করা হয়েছে সর্বনিম্ন ১৬ এবং লিখিত পরীক্ষায় নুন্যতম ২ পেতে হবে।

জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের মত অন্যান্য ইউনিটেও মোট ৮০ নম্বরের মধ্যে ৩২ নম্বর পাশের শর্ত দেওয়া হয়। এছাড়া লিখিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২০ নম্বররের মধ্যে নুন্যতম ৭ পেলেই তাবে তার মূল্যায়ন করা হবে বলে আলাদা শর্তারোপ করা হয়।

তবে ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় যে প্রশ্ন করা হয়েছে তা অধিকাংশ সিলেবাস বর্হিভূত। সাধারণত ভর্তি পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটে প্রশ্ন করা হয়েছে অনাস বা মাস্টার্স লেভেলের। এতে করে অধিকাংশ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা ফেল করার আশঙ্কা করছে। 

ইউনিট সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষায় যে পাশের শর্ত দেওয়া হয়েছিল সে অনুযায়ী ‘বি’ ইউনিটের মোট আসন সংখ্যাও পূর্ণ হচ্ছে না। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বি’ ইউনিটের পাশের শর্ত শিথিল করেছে। যাতে আসন সংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থী পাওয়া যায়।

এ দিকে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাশের শর্ত শিথিল করার বিষয়টাকে নেতিবাচক দিক হিসেবে মনে করছেন অনেকে। তারা মনে করেন, শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা বিবেচনা করে প্রশ্নপত্র প্রনয়ণের কথা থাকলেও শিক্ষকরা নিজেদের যোগ্যতা প্রকাশের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। তারা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিবেচনা না করে প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। এতে ভর্তি পরীক্ষার ফল বিপর্যয় হয়েছে। ফলে আসনের সমসংখ্যক শিক্ষার্থী খুঁজে পেতে ভর্তির শর্ত শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।

এ বিষয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জেষ্ঠ অধ্যাপক বলেন, ‘লিখিত পরীক্ষায় আমার দেখা প্রায় ১৬০টি উত্তরপত্রে মাত্র একজন শিক্ষার্থী পাশ নম্বর ৭ (সাত) পেয়েছে। অন্যান্যদের ক্ষেত্রে হয়তো একই অবস্থা। আসলে প্রশ্ন করার সময় ইউনিট সমন্বয়কারীদের আরো গভীরভাবে ভাবা উচিৎ ছিল, যে প্রশ্ন করা হয়েছে সেটা শিক্ষার্থীদের অনুকূলে কি না।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘প্রশ্নপত্র একটু বেশি কঠিন হয়েছে। ফলে প্রত্যাশিত পরিমাণে শিক্ষার্থী না পাওয়ায় আমরা কিছুটা শর্ত শিথিল করেছি। যাতে করে কোনো আসন ফাকা না থাকে।’

বিডি২৪লাইভ/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: