মীরসরাইয়ে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে দাদী-নাতনীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১২:১০ পিএম

মীরসরাইয়ে বিষাক্ত পটকা মাছ খেয়ে দাদী-নাতনীর মৃত্যু হয়েছে। কুড়িয়ে আনা এসব মাছ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ আরও ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সকলেই একই পরিবারের সদস্য। মারা যাওয়া দাদীর নাম ফজিলা খাতুন (৬০) ও তার নাতনি নাম মরিয়ম (৩)।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন মরিয়মের বাবা শফিকুল ইসলাম (৩৫), মা বিলকিস (৩০), ভাই রাব্বি (১০) ও সাব্বির (৭) এবং বোন ঝর্ণা (৮) ও আতিয়া (২), মরিয়মের মামা আমজাদ হোসেন (২৬)। 

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌরসভার চিনকি আস্তানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে অসুস্থ ৭ জনকে এনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই দাদী-নাতনীর মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের পরিবারের বরাত দিয়ে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। অসুস্থদের মধ্যে সকলের অবস্থাই গুরুতর বলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট পৌরসভার অধীনে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে কাজ করেন মরিয়মের বাবা ও দুই মামা। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর। তারা বারৈয়ারহাট পৌরসভার চিনকি আস্তানা এলাকায় ভাড়া বাসায় তারা থাকেন। সংসারের আর্থিক কষ্টের কারণে শিশু মরিয়মের দাদী ফজিলা খাতুন প্রতিদিন বারৈয়ার হাট বাজারে পরিত্যক্ত মাছ কুড়াতে যান।

বৃহস্পতিবার সকালে তিনি পটকা মাছ কুড়িয়ে আনেন। রান্না করা পটকা মাছ দুপুরে খেয়ে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন সবাই। মাছ খাওয়ার পর তারা বমি করতে শুরু করেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে দাদী ফজিলা খাতুন ও নাতনি মরিয়ম ঘরেই মারা যান বলে জানিয়েছেন মরিয়মের মামা হোসেন মিয়া।

পুলিশ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বলেন, সাতজনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। 

বিডি২৪লাইভ/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: