ফেনীর দুই আসনে খালেদাসহ ৬ নারী মনোনয়ন প্রত্যাশী

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩১ পিএম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের দৌড়ে পিছিয়ে নেই নারী প্রার্থীরা। বর্তমান সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রনেত্রী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, অভিনেত্রী, শিল্পী সবাই ব্যস্ত সময় পার করছেন দলীয় মনোনয়নের দৌড়ঝাঁপে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন তুলেছেন একঝাঁক নারী নেত্রী। এরই ধারা-বাহিকতায় এবার ফেনী-১ ও ফেনী-৩ আসনেও মনোনয়ন পেতে আবেদন করেছেন ছয় নারী নেত্রী।

তারা হলেন, ফেনী-১ আসন (ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া) থেকে বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় নেত্রী নাজমা আক্তার।

অপরদিকে, ফেনী-৩ আসন (সোনাগাজী ও দাগনভূঞা) থেকে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক অভিনয় শিল্পী শমী কায়সার এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আইনজীবী শাহানা আক্তার শানু মনোনয়নের আবেদন করেছেন।

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা চার বার নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি রয়েছেন। তার পক্ষে দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু। এ আসনে খালেদা জিয়া ছাড়াও বিএনপি থেকে আবদুল আউয়াল মিন্টু নিজে, নুর আহম্মদ মজুমদারসহ নয়জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

আসনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কেন্দ্রীয় জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এবারও তিনি এ আসন থেকে নির্বাচন করতে আগ্রহী। এ ছাড়া এ আসন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ পাঁচজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া এ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী নাজমা আক্তার।

ফেনী-৩ আসনে রোকেয়া প্রাচী দীর্ঘদিন থেকে ঢাকায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। গত দুই বছর যাবৎ এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছেন। তার পৈত্রিক বাড়ি সোনাগাজীর চর ছান্দিয়া গ্রামে।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শমী কায়সারও দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক পরিচিত নাম। অভিনয়, প্রযোজনাসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তার বাবা ৭১ এর একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লা কায়সার। মা পান্না কায়সারও সাবেক সংসদ নানা সাংস্কৃতিক কাজে জড়িত রয়েছেন। তার পৈত্রিক বাড়ি সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে।

এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল বাশার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী, জাপান আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম ভুট্টুসহ ১৯ জন।

অপরদিকে, বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহানা আক্তার শানু শিক্ষাজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। তিনি ঢাকায় আইন পেশায় নিয়োজিত। পৈত্রিক বাড়ি সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামে।

এ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি নেতা ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঞা, সাবেক ছাত্রদল নেতা নাজমুল করিম দুলালসহ ২৪ জন বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী।

এ ছাড়া আসনটিতে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমা দেন এক-এগারোর আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। পরে জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে এই আসনের জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া এ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) কেন্দ্রীয় নেতা শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

জাতীয় পার্টিতে যোগদানের পর দিনই তাকে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মনোনীত করা হয়। এ আসনটি ২০১৪ সালেও মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিডি২৪লাইভ/এজে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: