ট্রাম্পকে একহাত নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
আমেরিকার শত শত কোটি ডলার অর্থ সাহায্যের বিপরীতে পাকিস্তান কিছুই করেনি বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি সোমবার (১৯ নভেম্বর) ধারাবাহিক টুইট বার্তায় ওয়াশিংটনের কথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তানের অবদান একে একে তুলে ধরেছেন।
মার্কিন বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত ইমরান খান বলেন, ট্রাম্পের সুদীর্ঘ আক্রমণাত্মক বক্তব্যের জবাব দিতে কিছু রেকর্ড তুলে ধরা প্রয়োজন। ওয়াশিংটনের কথিত সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তান জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পাক প্রধানমন্ত্রী তার টুইটার বার্তায় বলেন, ‘৯/১১ হামলায় কোনো পাকিস্তানি জড়িত না থাকা সত্ত্বেও ইসলামাবাদ আমেরিকার সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। এই যুদ্ধে ৭৫ হাজার পাকিস্তানি নিহত হয় এবং দেশটির আর্থিক ক্ষতি হয় ১২৩ বিলিয়ন ডলারের। অথচ আমেরিকা কথিত সাহায্য দিয়েছে মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলার।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইমরান খান বলেন, আফগানিস্তানে এখনো মোতায়েন হাজার হাজার মার্কিন সেনার রসদ সরবরাহের জন্য এখনো পাকিস্তান তার স্থল ও আকাশসীমা খুলে রেখেছে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘ট্রাম্প কি আমেরিকার অন্য কোনো বন্ধুরাষ্ট্রের নাম বলতে পারবেন যেটি এতবড় আত্মত্যাগ করেছে?’
তিনি আরেক টুইটার বার্তায় আফগান যুদ্ধে ওয়াশিংটনের ব্যর্থতায় পাকিস্তানকে বলির পাঠা বানানোর জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেন।
ইমরান খান বলেন, ‘তাদের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে বলির পাঠা বানানোর আগে আমেরিকার উচিত আফগান যুদ্ধ পূর্ণমূল্যায়ন করা। এই যুদ্ধে ন্যাটো জোটের এক লাখ ৪০ হাজার এবং আফগানিস্তানের আড়াই লাখ সৈন্যের পাশাপাশি কথিত এক ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করার পরও বর্তমানে তালেবান অতীতের চেয়ে কেন বেশি শক্তিশালী তা ভেবে দেখার সময় এসেছে।’ সূত্র: পার্সটুডে।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: