ভরা বাসে তরুণীর গা ঘেঁষে যুবকের কাণ্ড, জুতো খুলে বেদম মার
আদিমতার টানে স্থির মানুষও অপ্রকৃতিস্থ হয়ে উঠে। বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গ কামনায় ব্যক্তি তখন হুশ হারায়। যেন এক চুমুকে গিলে খেতে চায় গোটা সাগরের জল। যেন মাঝ দরিয়ায়ও ডুবে মরার কোনও ভয় থাকে না। যৌন আকাঙ্ক্ষার তীব্রতায় কাণ্ডজ্ঞান হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। অতিক্রম করে ফেলেনে সভ্যতার সমস্ত সীমা।
এবার ঠিক তেমনেই ভারতের দিল্লি। বাসে প্রকাশ্যে বসে হস্তমৈথুন করছিলেন। তা-ও আবার ২৬ বছরের মহিলা সাংবাদিককে দেখিয়ে দেখিয়ে। অবশেষে সেই ব্যক্তির ঠাঁই হল গরাদে।
ভারতীয় জাতীয় প্রচারমাধ্যমের এক খবর অনুযায়ী, বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ দক্ষিণ দিল্লিতে ভরা বাসে ঘটে এমন কাণ্ড। তরুণী সাংবাদিক কাপাসেরা থেকে কাজ সেরে ফিরছিলেন সঙ্গম বিহারের বাড়িতে।
সেই তরুণী সাংবাদিককেই হেনস্থা করার উদ্দেশ্যে হস্তমৈথুন করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। তৎক্ষণাৎ হাতেনাতে নিগ্রহকারীকে ধরে ফেলেন সাংবাদিক। জুতো খুলে পেটাতে শুরু করেন তিনি। তার পরে বাস থেকেই থানায় ফোন করেন।
ঠিক কী ঘটেছিল? তরুণী সাংবাদিক জানান, ‘‘মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসনে আমি বসেছিলাম। একজন আমার শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আমার দিকে কুৎসিৎ ভাবে তাকাতে থাকেন।’’ অস্বস্তি হওয়ায় সরাসরি সেই ব্যক্তির দিকে তাকান তিনি। তবে এতে বিব্রত হওয়ার বদলে সেই ব্যক্তি নিজের প্যান্টের চেন খুলে গোপনাঙ্গ বের করেন। তার পরে প্রকাশ্যেই হস্তমৈথুনে লিপ্ত হন তিনি।
তরুণী সাংবাদিক আরও জানিয়েছেন, ‘‘বাস পুরো ভরা ছিল। তবু কেউ আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেননি। বরং একজন সেই ব্যক্তিকে মারের হাত থেকে নিরস্ত করতে থাকেন। একজন আমাকে সাহায্য করলেও পরে প্রত্যক্ষদর্শী হতে অস্বীকার করেন।’’ আন্ধেরিয়া মোড়ের কাছে বাস থামিয়ে পুলিশ সেই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়।
দক্ষিণ দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নাম মুকেশরঞ্জন কুমার। টেন্ট অপারেটর হিসেবে তিনি কাজ করেন।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: