কওমী মাদ্রাসা শিক্ষিকার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৬:৩৪ পিএম

পাবনার চাটমোহর পৌর সদরে অবস্থিত আয়েশা সিদ্দিকা বালিকা কওমী মাদ্রাসার শিক্ষিকা আমেনা খাতুনের (৪০) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে যাওয়ার পরে বিষয়টি ধামা চাপা দিতে তৎপর থাকে স্থানীয় একটি মহল। পরে বিকেলে এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করে।

নিহত আমেনা খাতুন পৌর শহরের আয়েশা সিদ্দিকা বালিকা কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষিকা ও উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী সন্দেহভাজন ব্যক্তি গা ঢাকা দিয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আলী আফ্রাতপাড়া মহল্লার হাজী আক্কাস আলী মাস্টার হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এবং আমেনা বেগম আয়েশা সিদ্দিকা বালিকা কওমী মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন এবং স্ব-স্ব মাদ্রাসায় বসবাস করতেন। তবে তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বুধবার সন্ধ্যায় মোহাম্মদ আলী স্ত্রীর কাছ থেকে ৪ বছর বয়সী মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে চলে যান। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে রাতে মাদ্রসার শিক্ষিকাগণ আমেনা বেগমকে খুঁজে না পেয়ে মাদ্রাসার পাশের একটি আমগাছে গলায় রশি পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার স্বামীকে খবর দেন। পরে রাতেই মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলে এসে স্ত্রীর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান এবং বৃহস্পতিবার সকালে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান স্বামী মোহাম্মদ আলী। তবে স্থানীয়দের দাবি, পুলিশকে না জানিয়ে মরদেহ তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা প্রমাণ করে মোহাম্মদ আলী তার স্ত্রী আমেনা বেগমকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন জানান, মৃতদেহের গলায় কালো দাগ রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের পর মরদেহ শুক্রবার সকালে পাবনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া মেয়ে পক্ষ ও তার শশুর কুলের আত্মীয় স্বজন বলছে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে এবং তারা মিমাংশা করতে ইচ্ছুক। থানার পক্ষ থেকে তাদের ম্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে ময়না তদন্তের পরে রিপোর্ট হাতে পেলে হত্যা না আত্মহত্যা সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে থানা পুলিশ ।

বিডি২৪লাইভ/এজে
 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: