বিএনপির আসলাম ও আ’লীগের বাকের ভুঁইয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল

বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ঋণখেলাপি হওয়ায় আজ রোববার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে যাচাই–বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

উপজেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, আসলাম চৌধুরীর মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন। তাতেও না হলে আদালতে যাবেন তাঁরা।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, আসলাম চৌধুরী ২৭টি ব্যাংকে ঋণখেলাপি। সে জন্য তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তফাজ্জল হোসেন বলেন, আসলাম চৌধুরীকে ঋণখেলাপি আখ্যা দিয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। অথচ ঋণখেলাপি না করতে আদালতের স্থগিতাদেশ ছিল। বিএনপির পক্ষে থেকে নির্বাচন কমিশনে আপিল করার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তাতেও সফল না হলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন।

ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, আসলাম চৌধুরীর পক্ষে দেওয়া আদালতের স্থগিতাদেশ তাঁদের একটি কোম্পানির পক্ষের। কিন্তু আসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত খেলাপি ঋণের ব্যাপারে কোনো স্থগিতাদেশ ছিল না। সে জন্য বাতিল করা হয়েছে। মিল্টন রায় আরও বলেন, বিএনপির আরেক প্রার্থী এ কে এম আয়ু তাহেরের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়েছে। তিনি দলীয় মনোনয়নের চিঠি জমা না দিয়ে দলটির প্রার্থী হতে চেয়েছেন।

সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে তাঁর সমর্থনকারী হিসেবে উপজেলার মোট ভোটারের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়েছে তাঁকে। চার হাজারেরও বেশি ভোটারের স্বাক্ষর তিনি জমা দিয়েছিলেন।

ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, বাকের ভূঁইয়ার দেওয়া স্বাক্ষরগুলোর মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্বাক্ষর সঠিক কি না যাচাই করা হয়। এতে দেখা যায়, তিনজন নিরক্ষর লোকের স্বাক্ষর রয়েছে। এ ছাড়া অনেকগুলো ভুয়া। তাই তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া বলেন, একটা সামান্য বিষয় নিয়ে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তিনি আপিল করবেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী সামছুল আলম হাসেমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

যাঁদের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে:

বর্তমান সাংসদ ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দিদারুল আলম, জাতীয় পাটির দিদারুল কবির দিদার, বিএনপির মো. ইসহাক কাদের চৌধুরী ও সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) এ ওয়াই বি আই সিদ্দিকী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ও মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মুহাম্মদ আশ্রাফ হোসেন।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে