সবচেয়ে ধনী ড. রেজা কিবরিয়া
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসনের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রার্থীদের জমা দেওয়া তথ্য মোতাবেক তিনিই এ আসনে এখানকার সবচেয়ে ধনাঢ্য প্রার্থী।
ড. রেজা কিবরিয়া হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও মরহুমা আসমা কিবরিয়ার ছেলে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজীর তেমন কোনো সম্পদ নেই।
ড. রেজা কিবরিয়া রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা বলে নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ডি-ফিল। পেশা হিসেবে তিনি অর্থনীতিবিদ। তবে বর্তমান ও অতীতে তার কোনো মামলা নেই। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে বার্ষিক ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৫ টাকা আয় হলেও পরামর্শক খাত থেকে ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ টাকা আয় আছে তার। নিজ নামে ব্যাংকে জমা রয়েছে ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে ১৭ লাখ টাকা, পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থানীয় আমানতে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা, গাড়ি অর্জনকালীন মূল্য ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু অর্জনকালীন মূল্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ টাকা, আসবাবপত্র অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি রয়েছে; যার অর্জনকালীন মূল্য ৮ লাখ টাকা, ধানমন্ডিতে উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত জমির বিনিময়ে ১৪টি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটগুলো হস্তান্তর হয়নি। এ ছাড়া পৈতৃকসূত্রে গুলশানে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে; যার অর্জনকালীন মূল্য ৬০ লাখ টাকা। এ ফ্ল্যাটটি তার পিতা শাহ এ এম এস কিবরিয়া জীবদ্দশায় তার নামে কিনেছিলেন।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক মন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজীর ছেলে।
শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা বিকম উল্লেখ করেছেন। মামলাহীন মিলাদ গাজী ব্যবসায়ী হলেও তার বার্ষিক কোনো আয় নেই। পরামর্শক খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তার হাতে নগদ রয়েছে ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৬ হাজার ১০০ টাকা জমা রয়েছে। তার লিমিটেড কোম্পানির পরিচালক হিসেবে ১৮ লাখ ৭২ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার রয়েছে। তার ব্যবহারের স্বর্ণ রয়েছে ৪ তোলা; যার তৎকালীন মূল্য ৫ হাজার টাকা। বিয়েতে প্রাপ্ত টিভি-ফ্রিজসহ ১০ হাজার টাকার মালামাল রয়েছে।
এদিকে, হবিগঞ্জ-১ আসনের গনফোরাম প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়া মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) আপিল করবেন বলে জানিয়েছিলেন। নবীগঞ্জ-বাহুবলের জনতার মধ্যে আলোচনা চলছে আবারও রেজা কি ভোটের মাঠে ফিরতে পারবেন। না ঋণ খেলাপির অভিযোগ নিয়ে ভোটের মাঠ থেকে বিদায় হবে। এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে রয়েছেন সাধারণ ভোটার সহ সচেতন মহল। তবে আইনজীবী মত প্রকাশ করেছেন এই আপিল হাইকোর্টে করলে ৯৫% সম্ভাবনা রয়েছে ড. রেজা আবার ভোটের মাঠে ফিরে আসার। তবে সব কিছু নির্ভর করছে আদালতের মর্জির উপর।
উল্লেখ্য যে, গত ২ ডিসেম্বর মনোনয়ন বাছাইয়ে সিটি ব্যাংকের ইস্যুকৃত একটি ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক নবায়ন ফ্রি সাড়ে ৫ হাজার টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় ঋণ খেলাপির অভিযোগে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের গণফোরম মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। গত রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে হবিগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ ড. রেজা কিবরিয়ার মনোনয়ন বাতিল করেন।
বিডি২৪লাইভ/টিএএফ
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: