যে ২৪ আসন পেল জামায়াত

প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১২:৩৩ এএম

শরিকদের পাশাপাশি বিএনপির একাধিক নেতাও শনিবার (৮ ডিসেম্বর) ধানের শীষের চূড়ান্ত মনোনয়ন পান। শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘোষণা আসে, আর চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে না। আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে ফের আসনসহ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

এর মধ্যে ২৪টি আসন পেয়েছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। শনিবার বিকেলে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের মাইকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

যে ২৪টি আসন পেল জামায়াত

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জেলা জামায়াত আমীর মো. আবদুল হেকিম, দিনাজপুর-১ আসনে জেলা কমিটির (উত্তর) কর্মপরিষদ সদস্য মো. আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আসনে জেলা (দক্ষিন) আমীর আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ আসনে জেলা নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টু, নীলফামারী-৩ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির শূরা সদস্য, জেলার সাবেক আমীর, মো. আজিজুল ইসলাম, গাইবান্ধা-১ আসনে জেলা জামায়াতের উপদেষ্টা মাজেদুর রহমান সরকার, সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-৫ আসনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. ইকবাল হোসাইন, ঝিনাইদহ-৩ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির শূরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, যশোর-২ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির শূরা সদস্য আবু সাঈদ মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, বাগেরহাট-৩ আসনে জেলা জামায়াত সেক্রেটারি আবদুল ওয়াদুদ, বাগেটহাট-৪ আসনে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. আবদুল হালিম, খুলনা-৫ আসনে কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, খুলনা-৬ আসনে খুলনা মহানগর জামায়াতের আমীর মো. আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-২ আসনে জেলার সাবেক আমীর মুহাদ্দিস আবদুল খালেক, সাতক্ষীরা-৩ আসনে জেলার ভারপ্রাপ্ত আমীর মুফতি রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা-৪ আসনে কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ আসনে জেলা জামায়াতের সাবেক রুকন শামীম সাঈদী, ঢাকা-১৫ আসনে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান, সিলেট-৫ আসনে জেলার বিভাগীয় রাজনৈতিক সহ-সমন্বয়কারী ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সিলেট-৬ আসনে সিলেট দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমান, কুমিল্লা-১১ আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত আমীর আ ন ম শামসুল ইসলাম ও কক্সবাজার-২ আসনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদ।

এদিকে, মনোনয়ন না পেয়ে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের সমর্থকরা। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, গোপালগঞ্জের সেলিমুজ্জামান সেলিম, ঢাকা-১২ আসনের আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও শেরপুরের নালিতাবাড়ীর একটা আসনের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

এর আগে দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এহসানুল হক মিলনের পক্ষে স্লোগান এবং বিক্ষোভ করেন তার সমর্থকরা। পরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেটে তালা দিয়ে বন্ধ করে দেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর গেট খুলে দিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে তার সমর্থকরা গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যায়।

শনিবার রাত ৮টার দিকে পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হাসান মামুনের সমর্থকরা নয়াপল্টন কার্যালয়ে তালা মারেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: