২০ বছর পর অভিনয়ে ফিরলেন ‘আম্মাজান’ খ্যাত শবনম

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫৪ পিএম

‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্র দিয়ে সারাবাংলা কাঁপিয়েছিলেন এক সময়ের কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শবনম। নন্দিত পরিচালক কাজী হায়াৎ পরিচালিত এ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। তারপর প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও আর কোন সিনেমায় দেখে মিলেনি তার। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও শেষ পর্যন্ত গল্প, চরিত্র তার মনকে খুব বেশি টানেনি বিধায় সেসব সিনেমায় অভিনয় করা হয়ে উঠেনি তার।

নতুন খবর হলো আবারও অভিনয়ে ফিরলেন এই অভিনেত্রী। পাকিস্তানে নির্মিত একটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। দীর্ঘদিনের কর্মস্থল পাকিস্তানে অসংখ্য চলচ্চিত্রে কাজ করে তিনি অর্জন করেছেন খ্যাতি ও সম্মান।

চলতি বছরই এ ধারাবাহিকের শুটিংয়ের জন্য বেশ কয়েক মাস টানা পাকিস্তানে শুটিং করেছেন তিনি। সেখানে বেশ কয়েক পর্বের শুটিং শেষে গেল মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।

আলী তাহেরের নির্দেশনায় ফাসেহ বারী খানের রচনায় ‘মোহিনী ম্যানসন কী সিনড্রেলা’ নামক একটি ধারাবাহিকের কাজ করছেন তিনি। ধারাবাহিকটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে শবনমই অভিনয় করছেন। এরই মধ্যে ৩ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের একটি প্রাইভেট চ্যানেলে এর প্রচারও শুরু হয়েছে।

শবনম জানান, ‘বহু বছর পর পাকিস্তানের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে অভিনয় করেছি। আলী তাহেরের বাবা আমার পূর্ব পরিচিত ছিলেন। যে কারণে তারই আগ্রহে এ ধারাবাহিকে আমার কাজ করা। ধারাবাহিকের গল্প বলা যায় আমাকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে যাবে। আমি আলী তাহেরের ইউনিটে কাজ করে ভীষণ সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা হলো ৩ ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিকটির প্রচার শুরু হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই দর্শক ধারাবাহিকটি বেশ ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন। জানতে পেরেছি বহু বছর পর দর্শক আমার অভিনয় দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এটাই অভিনেত্রী হিসেবে আমার সফলতা, আমার ভালোলাগা।’

এদিকে চার দশকেরও বেশি সময় আগে শবনম নাদিমের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানে ‘আয়না’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। নজরুল ইসলাম নির্দেশিত এটি পাকিস্তানের একটি ব্যবসা সফল সিনেমা। এ সিনেমায় অভিনয় করে শবনম ‘নিগার অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছিলেন।

আইএন

বিডি২৪লাইভ/আইএন/আরআই

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: