উৎসব আর শঙ্কা নিয়েই প্রচারণায় বিএনপি

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৪৭ পিএম

দীর্ঘ দশ বছর পর নির্বাচনে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ার হাতাশায় ছিলো দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী। সেই হতাশা কেটে যায় গত মাসের ১১ তারিখ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলে নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয় উৎসব।

১০ বছরের সাজা নিয়ে জেলে আছেন দলটির চেয়ারপার্সন সত্তরোর্ধ্ব বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা খারাপ নিয়েই জেলে আছেন তিনি। 

যাবজ্জীবন সাজার বেড়ি নিয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাসনে বহু বছর ধরে। হাজার হাজার মামলা বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে। মামলার জালে জর্জরিত বিএনপির শীর্ষ নেতারাও। কারাবন্দি কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই গ্রেফতার হচ্ছেন এখনও। 

নির্বাচনে অংশ নেয়ার উৎসবে সরকারের হামলা-মামলার শঙ্কা নিয়েই প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি। প্রচারণা শুরুর পর থেকেই সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ বিএনপির প্রার্থীদের। 

আজও হামলা হয়েছে বিএনপির বর্তমান সিনিয়র নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি বিএনপির।

এছাড়া বিরোধী জোটের বিরুদ্ধে গুজব, অপপ্রচার ও কুৎসা রটানোর জন্য দেশের জনপ্রিয় মিডিয়াগুলোর নামে ফেক ওয়েবসাইট খোলাও অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কবির রিজভী আহমেদ। এছাড়াও নানাভাবে বিরোধী নেতাদের হুমকি দিচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরুর দিনেই বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করছে সরকার। বিভিন্নস্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারণার মাইক ভাংচুর এবং বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরেরও অভিযোগ করেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশী তান্ডব থামছেই না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ এখন ভয়ংকর আতংকের নাম। 

একদিকে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণায় উৎসবের আমেজে ঘেরা। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে উৎসব আর শঙ্কা নিয়েই প্রচারণায় রয়েছে।

বিরোধী জোটের নেতারা বলছেন, সরকার চাইছে বিএনপি ও তার জোট শরীকরা নির্বাচনে না আসুক। এজন্যই নানা হামলা মামলা করছে। তবে যতই হামলা মামলা করুক না কেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে বিরোধী এ জোট।

বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, সরকারি দল উৎসবের আমেজে প্রচার প্রচারণ চালালেও আমরা পারছি না। আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যেমন উৎসব আছে। তেমনিভাবে নানা শঙ্কাও রয়েছে। বেশির ভাগ নেতা কর্মীর নামেই অসংখ্য গায়েবী মামলা রয়েছে। উৎসব আছে নেতাকর্মীদের মাঝে তবে শঙ্কা উৎসবকে ডেকে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাকর্মীদের।

বিডি২৪লাইভ/এএফ/এসএস

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: