দেশে ফিরেছে চামেলী
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর স্পর্শ বেসরকারি অর্থপেডিক হাসপাতালে দুসপ্তাহের অধিক সময় চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন মঙ্গলবার বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় চামেলী খাতুন। বেসরকারি বিমান জেট এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌছান। শনিবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছেন। ফের অাগামী তিন মাস পর অাবারো তাঁকে চেকঅাপের জন্য ঐ হাসপাতালে যেতে হবে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন চামেলী। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রাজশাহী হযরত শাহমুখদুম বিমানবন্দরে পৌছাবেন। ফিরবেন মহানগরীর দরগাপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে। তিন মাসের সার্বিক চিকিৎসার সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন পদ্মা পাড়ের এই মেয়েকে। অাগামী ২২ ডিসেম্বর স্থানীয় ডাক্তারের মাধ্যমে তাঁর অপারেশেনর সেলাই কাটা হবে বেল জানান সাবেক এই অলরাউন্ডার।
ডা. প্রশান্ত তেজওয়ানির বরাত দিয়ে তিনি জানান, পায়ের পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে। পুরোপুরি সেরে উঠতে আরও ছয় মাস লাগবে। এক বছরের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে তাঁকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে এবং কিছু ফিজিওথেরাপি নিতে হবে।
চামেলী জানান, আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ্যবোধ করছেন এখন। তবে দীর্ঘ এই জার্নির কারেন পা কিছুটা ফুলেছে। তবে তা সেরে যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শে ধীরে ধীরে চলাফেরার চেষ্টাও করছেন। তবে এখনও সেভাবে পারছেন না।
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর শীর্ষ পর্যায়ের স্পর্শ বেসরকারি অর্থপেডিক হাসপাতালে চামেলীর ডান পায়ের লিগামেন্টের অস্ত্রোপচার হয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে। অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতালের ঠিক দক্ষিণে দুই মিনিটের হাঁটা পথে সোয়েতা গেস্ট হাউজে থেকেই প্রতিদিনের ড্রেসিং আর এই কয়দিনের সুষ্ঠু চিকিৎসা নেন। তার সঙ্গে ভারতে ছিলেন তার বড় বোনের মেয়ে মুশফিকা রোজি এবং বোনের ছেলে মোহাম্মদ রায়হান।
উল্লেখ্য, চামেলীর পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করছিলেন রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়ার জরাজীর্ণ একটি ঘরে।
বিষয়টি বিডি২৪লাইভ ডটকমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে অনেকেই তার পাশে এসে দাঁড়ান। এ সময় তার চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ২ নভেম্বর রাজশাহী থেকে ঢাকা নিয়ে ভর্তি করা হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতালে) ২১৬ নং কেবিনে। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালেই চিকিৎসার প্রস্তুতি শরু হয়। কিন্তু চামেলী দাবি করেন ভারতে চিকিৎসার জন্য। তার দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ভারতে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের হয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মাঠ মাতিয়ে বেড়িয়েছেন চামেলী খাতুন। ২০১০ সালের এশিয়া কাপের রানার আপ হওয়া দলের হয়ে মাঠ মাতান এই দাপুটে ক্রিকেটার। এর বাইরে ঢাকা বিভাগে খেলেছেন টানা। দুই মৌসুম শেখ জামালের ক্যাপ্টেন হিসেবে সামনে থেকে টেনে নিয়ে গেছেন দলকে। সেই তিনিই পরাস্ত হন ইনজুরিতে। এখন তার চিকিৎসা চলছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: