ইবিতে শিক্ষককে মারধর

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:৫৪ পিএম

জিয়া পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা কমিটির অনুমোদন না দেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনকে মারধর করেছেন এক কর্মকর্তা। মানজারে আলম মিরু নামের ওই কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ক্যাম্পাসের ডরমিটরির নিজ কক্ষে এ মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মানজারে আলম মিরুকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে নিজ কক্ষে বিশ্রাম করছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মানজারে আলম মিরু ও তার দুই সহযোগী জিয়া পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা কমিটির আনুমোদনের জন্য তার কক্ষের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। এরপর দরজা খুলে বের হয়ে তিনি বিশ্রাম করছেন বলে তাদেরকে জানান।

পরে মিরু ও তার দুই সহযোগী কমিটির আনুমোদনের বিষয়ে বললে তিনি ওই মুহূর্তে অস্বীকৃতি জানান এবং তাদের পরে আসতে বলেন। এরপর কমিটির আনুমোদন নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কাটাকাটির এক পর্যয়ে মিরু অধ্যাপক এমজাতকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হলে তারা মিরুকে আটকে রাখে এবং পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ এসে মিরু ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী। বুধবার রাতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনকে দেখতে গেলে এ নিন্দা জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মানজারে আলম মিরু এবং তার অফিসের পিয়ন নুরুজ্জামানকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ জানান, ‘ঘটনা শোনা মাত্রই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের আকট করেছি। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’


বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: