প্রচারণায় নয়, আদালতেই সময় যাচ্ছে বিএনপির!

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:৫৫ পিএম

শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পুরোদমে প্রচার প্রচারণা শুরু করলেও পিছিয়ে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীরা। বিরোধী জোটের অধিকাংশ প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্যা মামলা থাকায় ছুটতে হচ্ছে আদালতে। 

তারা এখন প্রচারণার থেকে আদালত প্রাঙ্গণে বেশি সময় কাটাচ্ছেন। যারাও প্রচারণায় নামছে তারাও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলা শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভোলা ৩ আসনের প্রার্থী মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, যেখানে নৌকার প্রার্থীরা নানাভাবে প্রচারণা চালাচ্ছে, সেখানে আমরা এলাকায়ই যেতে পারছি না। গতকাল (বুধবার) আমি এলাকায় যেতে চাইলেও পারিনি। সরকারের ক্যাডার বাহিনী আমি যে লঞ্চে যাবো সে লঞ্চে হামলা করে লঞ্চের কেবিন ও জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতাকর্মীদের উপর নৃশংস হামলা চলিয়েছে। এতে আমার ৫০ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা থাকায় গতকালই জামিন আবেদন করেছিলাম যাদের জামিন মঞ্জুর হয়েছে তারা ভোলায় প্রচার প্রচারণার জন্য যাচ্ছিলেন। তাদের ওপরই হামলা করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, জামিন নিতে আসা ৩ জন নেতাকে আদালতের গেট থেকে নতুন মামলায় আটক করেছে ডিবি পুলিশ। 

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নৌকার জোর প্রচারণা থাকলেও ধানের শীষের কাউকে দেখা যাচ্ছে না। ঢাকা ১১ আসনে নৌকার প্রার্থী একেএম রহমাতুল্লাহর পক্ষে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে তেমন কোন প্রচারণা চোখে পড়েনি। এখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ তাদের মাঠে নামতেই দিচ্ছে না সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। অনেকে মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে আদালতে দৌড়াচ্ছেন। জামিন পেলেই প্রচারণায় নামবেন বলে তারা জানান। 

শুধুমাত্র ঢাকা-১১ আসনই নয়, ঢাকাসহ পুরো দেশের চিত্র একই বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। 

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ আসনসহ প্রায় সব আসনেই প্রচারণায় ব্যস্ত সরকারি শিবির। বিরোধী শিবিরের প্রচারণা তেমন নেই বললেই চলে। সরকারি প্রার্থীর পক্ষে যেখানে গান-নাচের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে মামলায় জর্জরিত বিএনপির নেতাকর্মীরা জামিন আবেদনে ব্যস্ত। 

এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে আজ পর্যন্ত ১৫৮ টি মামলা ও ২৪১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ১৫টি মামলা ও ৪২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রিমান্ডে রয়েছে ২৭ জন নেতাকর্মী। প্রতিদিনই নতুন নতুন গায়েবী মামলা হচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জামিন নিলেও দেখা গেছে অজানা আরেক মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।

বিডি২৪লাইভ/এএফকে/এমআর

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: