মির্জা আব্বাসের ওপর হামলা

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৭:৫৩ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেছেন, রাজধানীর সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার এলাকায় তাঁর নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘সশস্ত্র’ হামলা করেছেন।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শাহজাহানপুরে নিজ বাসভবনে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস এ অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ৩০/৪০ জন যুবক এ হামলা চালায়। হামলায় আহত হয়েছে প্রায় ৬০ জন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়াল, আবুল কালাম, শাহাদাত হোসেন, নুর আলম, মোঃ রানা, জাহানারা বেগম, বিলকিস, মনি, রাশিদা, কফিল উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, আলম, আবদুস সালাম, নাদিয়া পাঠান পাপন, মানিক, ইমন, শওকত আলী স্বপন, মিজান, আলীমুদ্দিন প্রমুখ।

হামলাকারীদের হাতে লাঠি, লোহার রড, চাপাতি ও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে আহতদের কয়েকজন অভিযোগ করেন।

&dquote;&dquote;সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারণার কার্যক্রমে আওয়ামী লীগ এভাবে সহিংস আক্রমণ চালাবে আমি ভাবতেও পারিনি। নির্বাচনী প্রচারণা কার্যক্রমে হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। অন্যদিকে এই আহত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিনি সংবাদ সম্মেলনে আহত নেতাকর্মীদের মাথায়, পিঠে, হাতে ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখান সাংবাদিকদের।

হামলার বিষয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি নেতা-কর্মীদের বাইরে রেখে বাজারে ঢুকি। একপর্যায়ে হঠাৎ দেখি একদল ছেলে হিংস্র মারমুখী মনোভাব নিয়ে আমার নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পেটাচ্ছে। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও আঘাত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাদের থামানোর চেষ্টা করে আহত হয়েছেন। এক কর্মীর হাত ভেঙে গেছে। তাঁরা না থাকলে হয়তো আপনাদের সামনে কথা বলতে আসতে পারতাম না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে তো কোনো অস্ত্র ছিল না। লিফলেটই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র। এর মধ্যে আমরা আঘাতের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। জানে তো বেঁচে গেছি। তবে এমন আঘাত এলে বীরের মতো বুক পেতে নেব, পিঠে আঘাত করতে দেব না। দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ওপর হামলা-মামলা হচ্ছে, এসব মোকাবিলা করেই আমরা নির্বাচনে আছি। আমরা পলায়নপর হব না।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই হচ্ছে আজকে সারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সরকার বলছে, বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না আসলে আমাদেরকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে রাখবে কিনা সেটাই প্রশ্ন। আমরা নির্বাচন করতে পারবো কিনা এ বিষয়ে দেশের জনগণের মাঝে সন্দেহ রয়েছে।’

‘আমি সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে চাই, আসলে সরকার কি চায়? বিএনপিকে নির্বাচন করতে আদৌ দেবে কি দেবে না এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট হওয়া উচিত। তফসিল ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে নতুন কোন মামলা হবে না এবং পুরাতন মামলায় গ্রেফতার করা হবে না। এই বক্তব্যের সঙ্গে বাস্তবতার কোন মিল নেই।’

‘প্রতিদিন নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেয়া হচ্ছে। আমরা নির্বাচনে থাকতে চাই বলেই সরকারের এই আক্রোশ।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। পালানোর সুযোগ আমাদের নেই। আজ আমার ওপর হামলা হয়েছে, চার দিন আগে ঢাকা- চালানো হয়েছে। কিন্তু হামলা মামলা যতই হোক নির্বাচনের মাঠ আমরা ছাড়বো না।’

&dquote;&dquote;হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘সেগুনবাগিচায় মারামারির সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার শুরু কীভাবে ও শেষ পরিণতি কী হয়েছে তা জানার পর আমরা বিস্তারিত বলতে পারব।’

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: