‘গল্প দ্বারা মুগ্ধ হলে আমি সেই কাজটাই করবো’

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৩:০৭ পিএম

দীর্ঘদিন ধরেই নাটক-মডেলিংয়ে কাজ করে আসছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাসুমা রহমান নাবিলা। তবে তার ক্যারিয়ারে বসন্তের উন্মাদনা এনে দিলো ‘আয়নাবাজি’ ছবিটি। এখানে চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে অভিনয় করে দর্শকদের মনে দাগ কেটেছেন তিনি। আজকাল তাকে ‘আয়নাবাজি’র নাবিলা বলেই ডাকছেন সবাই। এই ছবিটির জন্য তিনি প্রথমবারের মত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। উপস্থাপনা নিয়ে ব্যস্ত নাবিলাকে কালেভদ্রে দেখা যায় নাটকে। এবার নিজের কাজ ও ব্যস্ততা নিয়ে তিনি কথা বলেন বিডি২৪লাইভের সঙ্গে।

বিডি২৪লাইভ: অনেকদিন পর নাটকে অভিনয় করছেন। এই নাটকে কাজ করার পেছনে কোন বিষয়টি আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছে?

নাবিলা: আমি এমনিতেও অনেক কম নাটক করি। আমার লাস্ট নাটক গিয়েছিল গত কোরবানি ঈদে। এরপর অনেকটা গ্যাপ পড়ে গিয়েছে। আমার কাছে মনে হয় আমার কাছে কোন কাজ ভালো লাগলেই আমি সেটা করি। আর এই নাটকের স্ক্রিপ্টটা যখন পরেছি, আমার কাছে ভালো লেগেছে। সিনোপসিস পড়ার পর মনে হলে আমি কাজটা করব। এছাড়া আরিয়ানের গল্পগুলো একটু অন্যরকম হয়। তার সাথে এর আগে ‘সংসার’ নাটকে কাজ করেছিলাম। এই নাটকের গল্পটাও একটু অন্যরকম! আমার কাছে ভালো লেগেছে, যার জন্য কাজটা করা।

বিডি২৪লাইভ: আপনাকে তো নাটকে খুব একটা দেখা যায় না। তার কারণ কি?

নাবিলা: বেসিক্যালি আমি নাটকের মানুষ না। আমি উপস্থাপনা করি। অভিনয়টা খুব মন থেকে মনে হলেই করি, না হলে করি না। আমি আসলে কাজ করার জন্য কাজ করি না। যেকোন কাজ করার ক্ষেত্রেই যদি আমার ভালো লাগে, আমার মন বলে যে আমি এই কাজটা করবো তাহলেই আমি সেই কাজটা করি, নয়তো করি না।

বিডি২৪লাইভ: যেকোন কাজ করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করেন?

নাবিলা: সেক্ষেত্রে কন্টেন্ট একটা বিষয়। কন্টেন্ট টা অবশ্যই ভালো হতে হবে আর পরিচালক তার কন্টেন্ট টা যদি আর্টিস্টের সাথে সিঙ্ক করিয়ে দিত পারেন আর আর্টিস্ট যদি সেটা ধরে কাজ করে তবে সেটা অবশ্যই ভালো হবে। আমার কাছে মনে হয় যে কন্টেন্ট এবং পরিচালক এই দুটো বিষয় খুব ইম্পটেন্ট।

বিডি২৪লাইভ: আজকের কাজটা নিয়ে জানতে চাই...

নাবিলা: আজকের নাটকের গল্পটা খুব সুন্দর। নাটকের নাম ‘মন মন্দিরে’ আর আমার চরিত্রের নাম শ্রুতি। পথিক নামে একটি ছেলের সাথে তার প্রেম জমে উঠে। একটা সময় তাদের মধ্যে একটা ক্রাইসিস তৈরি হয়, যেটা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে। এর বেশি আপাতত না বলাই ভালো। এখানে আমার সাথে কাজ করেছেন মনোজ।

বিডি২৪লাইভ: মনোজের সাথে কি এর আগে কাজ করা হয়েছে? তার সাথে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

নাবিলা: হ্যাঁ। মনোজের সাথে এর আগে একটি কাজ করেছি ‘কথা হবে তো’ নাটকে। ওই কাজটাও খুব ভালো হয়েছিল। ওই কাজটার পর অনেক পরিচালকই আমাদের দু’জনকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে চেয়েছিলেন। তার সঙ্গে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। তবে এর আগে মনোজের সাথে স্যোশাল এওয়ারনেসের একটা প্রোগ্রাম করেছিলাম। আর অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি, মনোজ খুব ভালো অভিনেতা। কম কথা বলে, এমনকি আমিও কম বলি। ওর সাথে কাজের চিন্তাধারাটা মিলে, অনেক সময় তার কাছ থেকে আমিও গাইড নেই।

বিডি২৪লাইভ: জুটিপ্রথা বিষয়টা কিভাবে দেখেন?

নাবিলা: অবশ্যই ভালো। কারণ আমি মনে করে জুটিটা তৈরি করে দর্শকরা। দর্শকরা যাদের কাছে পছন্দ করেন তাদেরকেই জুটি হিসেবে দেখতে চান। এটা অবশ্যই ভালো দিক। আমি জুটি জুটি করে কখনোই কাজ নিয়ে ভাবি নি, আমি অভিনয়টা ঠিকমত করে যেতে চায়।

বিডি২৪লাইভ: আপনি তো আয়নাবাজির নাবিলা বলে সমাদৃত। এরপর অনেকটা সময় কেটে গেল। নতুন কোন সিনেমার খবর আছে কি বা কোন পরিকল্পনা?

নাবিলা: পরিকল্পনা আসলে আমার একার দিয়ে তো কিছু হবে না। আমি তো অপেক্ষায় আছি ভালো কিছুর জন্য। আমার কাছে বাণিজ্যিক বা অফ ট্র্যাক বলে আলাদা কিছু নেই, আমি মনে করি এটা একটা সিনেমা। আমি যদি গল্প দ্বারা মুগ্ধ হয়ে যায় তবে আমি সেটাই করবো। সেখানে নাচ গান থাকতেই পারে। পরিচালক যদি গল্পের সাথে সেগুলোর লজিক দাঁড় করাতে পারে তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই। কিন্তু কোন কিছুই অপ্রাসঙ্গিক হওয়া যাবে না। মোটকথা, গল্প দ্বারা মুগ্ধ হলে আমি সেই কাজটাই করবো।

বিডি২৪লাইভ: সাংসারিক জীবন কেমন যাচ্ছে?

নাবিলা: আলহামদুলিল্লাহ! সব মিলিয়ে ভালো যাচ্ছে।

বিডি২৪লাইভ: নাবিলা বিডি২৪লাইভ ডটকমকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। বিডি২৪লাইভের পক্ষ থেকে আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

নাবিলা: বিডি২৪লাইভকেও ধন্যবাদ।

বিডি২৪লাইভ/আইএন/টিএএফ

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: