টাকার মালা পরানো নিয়ে যা বললেন ফখরুল

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৮:১৮ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার (২৩ ডিসেম্বর) তার নিজ আসন ঠাকুরগাঁও-১ এ নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে টাকার মালা গলায় পরিয়ে বরণ করার পর বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়া হলে তা দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

ফেসবুকে এ নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। যেমন নিহাদ বাবু কমেন্ট করেছেন, ‘একটা দলের সিনিয়র মহাসচিব হয়েও ধানের শীষে ভোট চাওয়ার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।’

রহিম এআরপি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী বলছেন যে, ‘ওদের অনেক টাকা, ফুল তো টাকা দিয়েই কিনতে হবে, তাই কষ্ট করে ফুল না কিনে ফুল কিনার টাকাটা'ই মালা বানিয়ে দিলো।’

শাহাদাত হোসেন কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘... বিএনপি দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন, নেতারা চিনে টাকা’ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।

ওই প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়- তবে বিষয়টিকে এভাবে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার কোন কারণ নেই বলে মনে করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এটি ঠাকুরগাঁও এলাকার মানুষের মধ্যে প্রচলিত একটি রীতি। নির্বাচনে তারা যাকে যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করেন, তাকে তারা ভালবাসার নিদর্শন হিসেবে এমন টাকার মালা পরিয়ে দেন।

তিনি বলেন, মূলত পছন্দের প্রার্থীর কাছে যদি নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর মতো অর্থ না থাকে, তাহলে তারা নিজেদের যতটুকু সামর্থ্য আছে তার সবটা দিয়ে নিজের প্রার্থীকে সাহায্য করেন এবং তাদেরকে সমর্থন জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ যেহেতু আমাকে তাদের উপযুক্ত প্রার্থী বলে মনে করছে, সেজন্য তারা আমার প্রচারণার জন্য খুশি হয়ে টাকা দিয়ে সাহায্য করছে। এটাকে অন্যভাবে দেখার কোন কারণ নেই। এটি স্থানীয় রীতি, যার মাধ্যমে মানুষ তাদের ভালবাসা প্রকাশ করে থাকে এবং এটা তারা প্রকাশ্যেই করে থাকে।’

গত রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণায় যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ উপলক্ষে শিবগঞ্জ সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসা মাঠে জনসভার আয়োজন করে বিএনপি। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে আসন গ্রহণের কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় কয়েকজন টাকার মালা নিয়ে আসেন এবং একে একে তাঁর গলায় সেই মালাগুলো পরিয়ে দেন।

এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা।

বিডি২৪লাইভ/এইচকে

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: